বৈদূর্য ঘোষাল,
মহেশতলা সাহিত্য ও সংস্কৃতি পরিষদের পক্ষ থেকে হিরু মিস্ত্রী স্কুল মাঠে “পুস্তক পার্বণ ও চিত্র প্রদর্শনী” র শুভ সূচনা হলো গত ৭ই মে।তিন দিন ব্যাপী (৭থেকে৯ই মে) এই বই মেলায় বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা র মাধ্যমে ছাত্র ছাত্রী দের সুপ্ত প্রতিভার উন্মেষে উৎসাহিত করা হয়।সৌরভচন্দ্র মুখার্জী র নামে লিটিল ম্যাগাজিন স্টল, শৈলেন্দ্র নাথ নস্করের নামে চিত্র প্রদর্শনী র ব্যবস্থা করা হয়েছে।কবি সম্মেলন, স্থানীয় বিদ্যালয়ে র প্রধান শিক্ষক দের সম্বর্ধনা, নাগরিক সম্বর্ধনা, এছাড়া ওপ্রতি দিন সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সহ বিভিন্ন দিনে উপস্থিত ছিলেন শুভাশিস চক্রবর্তী(সাংসদ, রাজ্যসভা),ডক্টর সুনন্দা গোয়েঙ্কা(অধ্যক্ষা, যোগেশচন্দ্র কলেজ), রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মৃগাঙ্ক সরকার, পশ্চিম বঙ্গ বিধান সভার মাননীয় অধ্যক্ষ বিমান বন্দোপাধ্যায়, এই অনুষ্ঠানে র চেয়ারপারসন বিশিষ্ট আবহাওয়াবিশেষঞ্জ এইবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ডঃ সুজীব কর, প্রধান উদ্যোক্তা ওমেলা কমিটির সভাপতি ড: মুকুল মন্ডল,পৌরমাতা গৌরী নস্কর।চিকিৎসক রবীন মন্ডল (সাধারণ সম্পাদক), এই প্রচেষ্টা র অন্যতম কারিগর ও দুর্বার কলমের সম্পাদক অমর নস্করের উদ্যোগ প্রশংসনীয়। মেলায় আগত দর্শনার্থীদের ভিড় চিত্রশিল্পী রূপায়নের নস্করের শিল্পসম্ভার দিকে। এতদঞ্চলের প্রখ্যাত শিল্পী লক্ষ্মীকান্ত দাসের সৃষ্টি নজর কাড়ে বৈকি। বিধান শিশু উদ্যানে র স্টল, বাংলা পক্ষের স্টলে সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত বাড়লে ভিড়ও বাড়ে।উৎসবের মেজাজে বই প্রেমী মানুষের এই আবেগ দেখে মনে হয় মহেশতলা র মুকুটে একটা পালক সঞ্চিত হলো।রবীন বাবু র গান মেলায় আগত মানুষ মন্ত্রমুগ্ধের মত শোনে।পেশায় ব্যাংককর্মী স্থানীয় মানুষ শুভাশিস নস্করের কথায়, “আমাদের এলাকায় এই মানের বইমেলা র উদ্যোগ এই প্রথম”। স্থানীয় অধিবাসী,পেশায় শিক্ষক অনুষ্ঠানে রঅন্যতম সঞ্চালক গিরিধারী চক্রবর্তীর কথায়, “এই অভিনব প্রয়াসে কচিকাঁচা থেকে,ছাত্র যুবরা অনুপ্রাণিত হয়ে বাংলার কৃষ্টি ও সংস্কৃতির যোগ্য উত্তরসূরী হবে”।