Spread the love

মহামায়া মন্দিরে অবৈতনিক পাঠশালা

:——–সাধন মন্ডল বাঁকুড়া:—-রাইপুরের চাঁন্দু ডাঙ্গা গ্রামে প্রায় সাড়ে 300 বছরের পুরানো ঐতিহ্যবাহী মা মহামায়া মন্দির রয়েছে। সেই মন্দির সংস্কারের কাজ চলছে আজ কয়েক বছর ধরে প্রায় ছয় কোটি টাকা ব্যায়ে নব রূপে নবসাজে দৃশ্য নন্দন একটি মন্দির নির্মিত হতে চলেছে রাইপুরের চাঁন্দুডাঙ্গা গ্রামে যা সম্পূর্ণ হলে জেলার সর্ববৃহৎ মন্দির হিসেবে স্বীকৃতি পাবে সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। যা দেখতে আগামী দিনে বহুপর্যটক এই বীরগাথা ঐতিহ্য মন্ডিত রাইপুরে পা রাখবেন ।এখানে উল্লেখ্য চুয়াড় বিদ্রোহের মূল নায়ক দুর্জন সিং ও ফতে সিং এই রাইপুরের এই বাসিন্দা ছিলেন। এলাকার শিক্ষাকে সার্বজনীন ভাবে আরো বেশি করে রূপ দিতে অর্থনৈতিক দিক থেকে একটু দুর্বল শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষার উন্নয়নের কথা ভেবে মহামায়া মন্দির নির্মাণ কমিটির উদ্যোগে আজ থেকে চালু হল একটি অবৈতনিক পাঠশালা।আজ বৈকাল চারটায় শুভ উদ্বোধন হল মা মহামায়ার অবৈতনিক পাঠশালা । এই মহৎ উদ্যোগে উপস্থিত ছিলেন মা মহামায়া মন্দির কমিটির সদস্যগণ এবং এই পাঠশালায় ভর্তি হওয়া ছাত্রছাত্রীদের মায়েরা ও এলাকার সম্মানীয় শিক্ষাদরদি মানুষজন । প্রথম দিনে ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতি এবং উৎসাহে আগামীতে আশার প্রদীপের উজ্জ্বলতা ছড়িয়ে পড়ার আভাস পাওয়া গেল । প্রাথমিকভাবে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীদের বিনা মূল্যে সপ্তাহে দুইদিন শনিবার ও রবিবার বৈকাল চারটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত সকল বিষয়ের পাঠদান করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে । আগামীতে অধিকমাত্রায় এলাকার শিক্ষাদরদি মানুষ যথাক্রমে শিক্ষক, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক, সরকারি কর্মী, শিক্ষিত যুবকরা সপ্তাহে দুইদিন দুই ঘন্টা করে এই বিদ্যালয়ে সময় দিতে এগিয়ে এলে এই বিদ্যালয়ের কলেবর বৃদ্ধি ঘটবে এবং অন্যন্য শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীদেরও পাঠগ্রহণের সুযোগ মিলবে বলে মন্দির কমিটি পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এলাকার সম্মানীয় শিক্ষক, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ও সরকারিকর্মীদের কাছে মা মহামায়া মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে বিনম্র নিবেদন- আসুন মা মহামায়ার এই আনন্দ নিকেতনে, আর অনাবিল আনন্দ লাভ করুন ।
আজ বিদ্যালয়ের শুভ সূচনা লগ্নে ছাত্রছাত্রীদের পাঠদান করলেন মন্ডলকুলি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক তথা মা মহামায়া মন্দির কমিটির সম্পাদক শ্রী বীরেন্দ্রনাথ ঘোষ । বীরেন্দ্রনাথ বাবু বলেন সকলের সহযোগিতায় এই পাঠশালাটি প্রাণ উজ্জ্বল হয়ে উঠুক। এবং সকলেই এগিয়ে আসুন মা মহামায়ার এই অবৈতনিক পাঠশালাটি জেলার একটি সর্ববৃহৎ ও সুনাম অর্জনকারী পাঠশালা হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করুক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *