মন্দারমণি মামলায় স্থগিতাদেশের মেয়াদ বৃদ্ধি করলো হাইকোর্ট
মোল্লা জসিমউদ্দিন,
মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে ছিল মন্দারমণি হোটেল/লজ ভাঙ্গা সংক্রান্ত মামলার শুনানি। এখনই ভাঙা হচ্ছে না। মন্দারমণিতে বেআইনিভাবে গজিয়ে ওঠা হোটেলগুলি এখনই ভাঙা যাবে না বলে জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট । আগে আগামী ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত ওই স্থগিতাদেশের মেয়াদ ছিল। এবার সেই নির্দেশিকার উপর স্থগিতাদেশের সময়সীমা বাড়িয়ে দিল হাইকোর্ট। এদিন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে।আগামী ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত বর্ধিত করা হল স্থগিতাদেশ। ১৭ জানুয়ারি পরবর্তী শুনানি।সমুদ্রপাড় দখল করে মন্দারমণি পর্যটনকেন্দ্রে গজিয়ে উঠেছে একের পর এক হোটেল। অভিযোগ, রীতিমতো প্রাচীর দিয়ে তার উপরেই পর্যটকদের আমোদ প্রমোদের ঢালাও কারবার চালিয়ে যাচ্ছে হোটেলগুলি।যার ফলে জাতীয় পরিবেশ আদালতের নির্দেশ মেনে আগামী ২০ নভেম্বরের মধ্যে শতাধিক ‘বেআইনি’ নির্মাণ ভেঙে ফেলার নোটিস দিয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন।সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করে হোটেল মালিকরা। সেই মামলায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। সেই নির্দেশের সময়সীমা বৃদ্ধি হল।এই মামলাটির পরবর্তী শুনানি ১৭ জানুয়ারি। স্থগিতাদেশের মেয়াদ বৃদ্ধিতে স্বভাবতই খুশি হোটেল মালিকরা। মামলাকারীদের হয়ে সওয়াল করেন আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।তবে এই নোটিসের বিষয় রাজ্য প্রশাসন এমনকী মুখ্যসচিবও জানতেন না বলেই পরবর্তীতে জানা যায়। যা নিয়ে রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ নিয়ে হোটেল মালিকদের সঙ্গেই দ্রুতই বৈঠকে বসার কথাও বলেন মুখ্যসচিব। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “বুলডোজার কোনও সমাধানের পথ নয়। কোনওরকম বুলডোজার চলবে না।” তবে এই প্রথম নয়, ২০২২ সালেও জাতীয় পরিবেশ আদালতে মন্দারমণির অবৈধ নির্মাণ ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। তবে সেসময় কোনও কারণে তা স্থগিত হয়ে যায়। গত শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চ জানিয়েছিল, ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত কোনও হোটেল, লজ ভাঙা যাবে না। মঙ্গলবারই ছিল শুনানি। এদিন বিচারপতি জানান, ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত বুলডোজার চলবে না। অর্থাৎ মন্দারমণিতে হোটেল ভাঙা মামলায় স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়াল কলকাতা হাইকোর্ট।