‘মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সংস্থা দিয়ে তদন্ত হলে যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো বিঘ্নিত হতে পারে’, অতিরিক্ত শুন্যপদ মামলায় সুপ্রিম কোর্ট
মোল্লা জসিমউদ্দিন,
মঙ্গলবার দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টে বড়সড় আইনী স্বস্তি পেল রাজ্য সরকার।এদিন সুপারনিউমেরারি পোস্ট বা অতিরিক্ত শূন্যপদ সংক্রান্ত মামলায় খারিজ হয়ে গেল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার বেঞ্চে চলে এই মামলার শুনানি। সুপারনিউমেরারি পোস্ট তৈরি করা অসাংবিধানিক নয় বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান বিচারপতি।মন্ত্রিসভার সদস্যদের হেফাজতে নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। সেই নির্দেশ খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ।প্রধান বিচারপতি উল্লেখ করেছেন, সুপারনিউমেরারি পোস্ট তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিতে পারে রাজ্যের মন্ত্রিসভা। অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করা অসাংবিধানিক নয়।সওয়াল-জবাব শোনার পর অতিরিক্ত শূন্যপদ সৃষ্টির জন্য কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে নির্দেশ খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট।এদিন প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না বললেন, “মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সংস্থা দিয়ে তদন্ত হলে ফেডেরাল স্ট্রাকচার (যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো) বিঘ্নিত হতে পারে।আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, -”সিবিআই তদন্তের নির্দেশ খারিজ করে দিয়েছে। সুপারনিউমেরারি পোস্ট নিয়ে কিছু বলেননি প্রধান বিচারপতি”। আইনজীবী ফিরদৌস শামিম জানিয়েছেন, -“অতিরিক্ত শূন্যপদ বৈধ কি না? সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে হাইকোর্ট। এদিন শুধুই মন্ত্রিসভার বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ খারিজ করে দেওয়া হয়েছে।অযোগ্য প্রার্থীদের সুযোগ করে দিতেই সুপার নিউমেরারি পোস্ট তৈরি করেছিল রাজ্য সরকার? এই প্রশ্ন তুলেই মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। পরে সেই মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে।ওই মামলায় রাজ্যের মন্ত্রিসভার বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চ। পরবর্তীতে ডিভিশন বেঞ্চ সেই নির্দেশ বহাল রাখে। পরে সেই নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেয় সুপ্রিম কোর্টের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। এদিন সেই মামলার শুনানি ছিল শীর্ষ আদালতে। প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার নির্দেশে স্বস্তি পেল রাজ্য।এদিনের সওয়াল-জবাবেও মামলাকারীরা দাবি করেন, -‘বেআইনিভাবে ‘অযোগ্য’দের চাকরি বজায় রাখতে শূন্যপদ তৈরি হয়েছিল’। তবে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, -:আইন বহির্ভূত কিছু হয়নি। এটা এসএসসি করতেই পারে। আর তাছাড়া সেসময় রাজ্য মন্ত্রিসভার অনুমোদনক্রমে, তৎকালীন রাজ্যপালের পরামর্শ মেনে শূন্যপদ তৈরি হয়েছিল। তাই সুপ্রিম কোর্ট এতে হস্তক্ষেপ করছে না’।