মঙ্গলকোটে অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি খুনে ধৃতদের জামিনে কড়া বিরোধিতা সিআইডির
মোল্লা জসিমউদ্দিন,
বুধবার কাটোয়া মহকুমা আদালতে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারকের এজলাসে উঠেছিল মঙ্গলকোটে অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি অসীম দাস খুনের মামলায় মূল অভিযুক্ত দুজনের জামিনের আবেদন নিয়ে শুনানি। এদিন তদন্তকারী রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থা সিআইডির তরফে কড়া বিরোধিতা কড়া হয় বিচারধীন বন্দি সাবুল সেখ এবং সামু সেখের জামিন নিয়ে। জামিন মঞ্জুর হলে সাক্ষ্যপ্রমাণ লোপাট হতে পারে বলে সিআইডির আইনজীবী এদিন সওয়াল জবাবে জানান। এদিন প্রায় চল্লিশ মিনিট সওয়াল জবাবের পর অবশ্য সিআইডি-র যুক্তিতেই মান্যতা দেয় কাটোয়া আদালত। অতিরিক্ত জেলা দায়রা বিচারক সুকুমার সূত্রধর দুই অভিযুক্তের জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন। তৃণমূল কংগ্রেসের লাখুরিয়া অঞ্চল সভাপতি অসীম দাসের খুনে অভিযুক্ত সাবুল সেখ ওই অঞ্চলের প্রাক্তন সহ সভাপতি পদে ছিলেন। তাই সিআইডি-র আইনজীবীর যুক্তি,’ খুনে অভিযুক্তরা যেহেতু এলাকার তৃণমূল নেতা এবং প্রভাবশালী, তাই সাক্ষীদের উপর প্রভাব খাটাতে পারেন তাঁরা’।প্রসঙ্গত, গত চলতি বছরের ১২ জুলাই সন্ধ্যারাতে কাশেমনগর এলাকার সিউর গ্রামের বাসস্ট্যান্ডের কাছে তৃণমূল নেতা অসীম দাস দুষ্কৃতীর গুলিতে খুন হয়েছিলেন। এই খুনে শুরু হয় জোর রাজনৈতিক চাপানউতোর। তার পর গত ১৫ জুলাই সাবুল সেখ ও সামু সেখকে গ্রেফতার করে স্থানীয় থানার পুলিশ। জানা যায়, তাঁরাও তৃণমূলেরই নেতা। এই খুনের ঘটনায় মোট সাত জনকে গ্রেফতার করে সিআইডি। খুনের ঘটনায় অভিযুক্তদের ভয়েস স্যাম্পেল নেওয়ার আবেদন করা হয়েছে সিআইডির তরফে। এরপর এদিন সেই মামলার আবেদনের শুনানি। , এই খুনের ঘটনায় বেশ কিছু ফোন কল রেকর্ড সিআইডি-র গোয়েন্দার হাতে এসেছে। খুনের আগে অভিযুক্তরা ফোনে গোটা পরিকল্পনা করেছেন বলে তদন্তকারীদের অভিযোগ। সেই কল রেকর্ড অভিযুক্তদের কিনা তা যাচাই করার জন্য ভয়েস স্যাম্পল নেওয়ার আবেদন করা হয়েছে। । এই খুনের মামলায় দুজন অন্যতম অভিযুক্ত অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন করে আদালতে ধৃতদের আইনজীবী । সিআইডির তরফে পাল্টা জামিন নাকচের দাবি জানানো হয়।মঙ্গলকোটের তৃণমূল নেতা খুনে নজরুল সেখ নামে মঙ্গলকোটের চাকদা গ্রামের বাসিন্দাকে বর্ধমান শহর থেকে গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলকোটের লাখুরিয়া তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি অসীম দাস খুনের ঘটনায় রিপন শেখ নামেও এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে গ্রেফতার করা হয় নবাবহাট থেকে। মঙ্গলকোটের লাখুরিয়া অঞ্চল সভাপতি তৃণমূল নেতা অসীম দাসের খুনের অভিযোগে এ পর্যন্ত মোট সাত জনকে গ্রেফতার করা হয়। অসীম দাসের খুনের পরিকল্পনার লিঙ্কম্যান হিসেবে নজরুল সেখ কাজ করেছিল বলে সিআইডি জানতে পারে।বুধবার কাটোয়া মহকুমা আদালতে মূল অভিযুক্তদের জামিনের আবেদন খারিজ হয়।