মইদুল মামলায় শুনানির প্রয়োজন নেই, হাইকোর্ট 

মোল্লা জসিমউদ্দিন
শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের দারস্থ হয়েছিলেন শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চের সম্পাদক মইদুল ইসলাম। পুলিশি সন্ত্রাস নিয়ে তার অভিযোগ ছিল।গত বৃহস্পতিবার রাতে তার বাড়িতে পুলিশ বাহিনী গিয়েছিল গ্রেপ্তারের জন্য বলে দাবি। বিধাননগর নর্থ এবং বেলেঘাটা থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী বাড়ি ঘিরে রেখেছিল। কলকাতা হাইকোর্ট এই মামলার প্রেক্ষিতে জানাল, এখনই এর শুনানির প্রয়োজন নেই। এদিন হাইকোর্টে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল জানিয়েছেন, -‘মইদুল ইসলামের বিরুদ্ধে একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। তার ভিত্তিতেই তাঁকে গ্রেফতার করতে গিয়েছিল পুলিশ। কিন্তু তা করা হয়নি। ৩০৭ ধারায় মইদুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে পুলিশ’। আদালতে মইদুল ইসলামের ভাই দাবি করেছিলেন, – ‘তাঁর দাদাকে যেন আইনী রক্ষাকবচ দেওয়া হয়’। তবে বিচারপতি রাজশেখর মান্থা শুনানি তে  জানিয়েছেন, ‘যেহেতু অ্যাডভোকেট জেনারেল আশ্বাস দিয়েছেন তাই এই মামলার শুনানির আর প্রয়োজন নেই। যদি আবার কোনও সমস্যা হয়, সেক্ষেত্রে আবেদনকারী আবার আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারবে’। মইদুল জানিয়েছেন – ‘ বিধাননগর নর্থ থানার আইসি-র নেতৃত্বে গতকাল রাতে তাঁর শ্বশুরবাড়িতে পুলিশি অভিযান চলে। সঙ্গে ছিল বেলেঘাটা থানার পুলিশও। সকাল ৫টা ৪৫ মিনিটে শেষ বার ফেসবুক লাইভ করেছেন মইদুল। তখনও তাঁর বাড়ির পাশে পুলিশ জমায়েত করে আছে বলে অভিযোগ। তবে বাড়িতে কেউ ঢুকতে পারেনি। শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চের পাঁচ জন শিক্ষিকা বিকাশ ভবনের সামনে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। দিন কয়েক আগে তা নিয়ে উত্তাল হয়ে উঠেছিল রাজ্য রাজনীতি। বিষ খাওয়া সেই শিক্ষিকাদের এক জন এখনও হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। বদলি, বেতন সংক্রান্ত বিবিধ তাঁদের অভিযোগ। তবে বারবার শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চেয়েও তাঁরা তাঁর নাগাল পাননি। গত বৃহস্পতিবার  শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চের রাজ্য সম্পাদক মইদুল ইসলামের বাড়িতে পুলিশি হানায় ফের চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। এই নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দারস্থ হয়েছেন মইদুল ইসলাম। তবে শুনানির আর প্রয়োজন নেই।আগামীতে ফের পিটিশন দাখিল করে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারেন মইদুল, তাও জানিয়েছে হাইকোর্ট। 

Leave a Reply