Spread the love

 ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় ঘরছাড়াদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে ডিজিপি – আইজি কে নির্দেশ 

মোল্লা জসিমউদ্দিন

সোমবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টে উঠে ভোট পরবর্তী হিংসা বিষয়ক মামলা টি। এদিন মামলাকারীদের অন্যতম আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল ঘরছাড়া ৩০৩ জনের হলফনামা জমা দেন।একুশে ভোট পর্ব মিটে গেলেও, ভোট পরবর্তী হিংসা যে এখনো থামেনি তার প্রমাণ এইসব হলফনামা বলে দাবি মামলাকারী আইনজীবীর। ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় অবিলম্বে ঘরছাড়া ও আক্রান্তদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে। এদিন। কলকাতা হাইকোর্টের তরফে  এই মর্মে কড়া নির্দেশ দিয়েছে রাজ্যকে। রাজ্যের ডিজি ও আইজির উদ্দেশে হাইকোর্ট  জানিয়েছে, -‘ অবিলম্বে স্থানীয় দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে, তা খতিয়ে দেখতে হবে।অথচ পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করছে না। বেশিরভাগ থানার নিস্ক্রিয়তা দেখাচ্ছে। ঘরছাড়া মানুষদেরও ঘরে ফেরার সাংবিধানিক অধিকার আছে’।তবে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল এজলাসে জানান , -‘  আবেদনকারীর দাবি সম্পূর্ন ভিত্তিহীন’।  মামলাকারীদের অন্যতম  আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালের অভিযোগ, -‘ রাজ্য সরকারের তরফে বারবার বলা হয়েছে, কেউ ঘরছাড়া নেই। কেউ কেউ বাইরে কাজের সূত্রে গিয়েছেন। যাঁদের ফোন নম্বর দেওয়া হয়েছে, সেগুলি নাকি ভুয়ো। আসলে এসব বলে পুলিশ এড়িয়ে যেতে চাইছে’। পাশাপাশি কেন্দ্রের তরফে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল আদালতকে জানান, -‘ সিবিআই এর পক্ষ থেকে তদন্তের চতুর্থ রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে’। তারপরেই কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেলের কাছে জানতে চান, -‘  সিবিআই তদন্তের অগ্রগতি কতখানি?’ অতিরিক্ত  সলিসিটর জেনারেল  এজলাসে জানান, -‘ তদন্ত এখনও চলছে’। এরপরেই ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় নিরপেক্ষ  তদন্তের জন্য দুই সদস্যের কমিটি গঠন করে দেয় কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান  বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভারদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ। ডিভিশন বেঞ্চের  নির্দেশ, -‘  শুধু অভিযোগকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত  করায় নয়, তাঁদের সাংসারিক জীবন যাতে শান্তিতে কাটে সেই বিষয়টাও নিশ্চিত করতে হবে ডিজি এবং আইজি কে’। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, -‘ এখনও পর্যন্ত যে ৩০৩ জন হলফনামা দিয়ে অভিযোগ জানিয়েছে,তাঁদের  ডিজিপি এবং আইজি- কে  নিরাপত্তার পাশাপাশি তাঁরা যাতে শান্তিপুর্ন ভাবে বসবাস করতে পারেন, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। এই ৩০৩ জনের হলফনামার কপি মামলাকারীর আইনজীবী  ডিজিপি এবং আইজি- কে দেবেন’। এই মামলায় দুই সদস্যের কমিটি গঠন করতে হবে। কমিটিতে থাকবেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এবং রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের এক জন করে সদস্য। এই কমিটির কাছে আবেদনকারীরা তাঁদের সম্পূর্ণ তথ্য জমা দেবেন। কমিটি বিষয়টি খতিয়ে দেখবে। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১৯শে এপ্রিল রয়েছে ।ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় সোমবার  ৩০৩ জনের নাম পেশ করা হল হাইকোর্টে । তাঁদের মধ্যে অনেকে কাজে ফিরতে পারেননি বলেও অভিযোগ। ওই ৩০৩ জনকে পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হল কলকাতা হাইকোর্টের  ডিভিশন বেঞ্চের তরফে। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে চলছে এই মামলার শুনানি।মামলাকারীদের তরফের আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল সোমবার  ৩০৩ জনের নাম ও সমস্ত তথ্য পেশ করেছেন কলকাতা হাইকোর্টে।প্রিয়াঙ্কা  জানিয়েছেন, -ওই ৩০৩ জনের মধ্যে ৪৭ জন এখনও কাজে যোগ দিতে পারেননি। এদের মধ্যে ৯২ জনের বাড়ি ভেঙে দেওয়া হয়েছে আর ১৬৪ জনকে জোর করে উচ্ছেদ করা হয়েছে ‘ । সোমবার মামলাকারীদের তরফে আবেদন ছিল, -‘ পুলিশ যদি নিরাপত্তা না দেয় সে ক্ষেত্রে একটি কমিটি গঠন করা হোক, যাতে জাতীয় ও রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধিরা থাকবেন। কাউকে পুলিশ বা স্থানীয় দুষ্কৃতীরা হুমকি দিলে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জিও জানানো হয়। এদিন রাজ্য পুলিশের আইজি ও ডিজিকে নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেহাইকোর্ট । বলা হয়েছে, স্থানীয় প্রশাসন বা পুলিশ যাতে তাঁদের হেনস্থা না করে, সে দিকে নজর রাখতে হবে’। সিবিআইয়ের তরফে জানানো হয়েছে -‘ ২৮ টি মামলার তদন্ত এখনও চলছে’।এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে আগামী ১৯ এপ্রিল। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *