ভারতে ডিজিটাল কারেন্সির যাত্রা শুরু:
পার্থপ্রতিম সেন (প্রাক্তন চেয়ারম্যান – পশ্চিমবঙ্গ গ্রামীণ ব্যাংক)
গত কেন্দ্রীয় বাজেটের সময় দেশের অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন এই অর্থ বছরেই ভারতে ডিজিটাল কারেন্সি চালু হবে।
সেই লক্ষ্যে আজ পয়লা নভেম্বর থেকে হোলসেল সেগমেন্টে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ডিজিটাল কারেন্সি বা ই-রুপির প্রথম পাইলট শুরু করবে।
সেকেন্ডারি মার্কেটে গভমেন্ট সিকিউরিটিজ-এর কেনা বেচায় প্রথম এই ই-রুপির আত্মপ্রকাশ হবে পরীক্ষামূলক ভিত্তিতে।
রিজার্ভ ব্যাংকের মত অনুযায়ী এর ফলে ব্যাঙ্কদের নিজেদের মধ্যে সিকিউরিটিজের কেনাবেচা বা অন্যান্য লেনদেন এবং সেটেলম্যান্ট অনেক সহজে, কম খরচে এবং দক্ষতার সাথে করা যাবে।
কারণ তখন সেটেলমেন্টের ক্ষেত্রে ঝুঁকি সামলাতে আলাদা কোনো ‘সেটেলমেন্ট গ্যারেন্টি পরিকাঠামো’ বা কোলেটারেল-এর প্রয়োজন হবেনা।
প্রথম পাইলট প্রক্রিয়ায় যোগদান করবে ন’টি ব্যাঙ্ক: স্টেট ব্যাঙ্ক, ব্যাঙ্ক অব বরোদা, ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক, এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক, আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক, কোটাক মহিন্দ্র ব্যাঙ্ক, ইয়েস ব্যাঙ্ক, আইডিএফসি ফার্ষ্ট ব্যাঙ্ক এবং এইচএসবিসি।
আগামী একমাসের মধ্যেই রিটেল সেগমেন্টে নির্বাচিত কিছু গ্ৰাহক এবং ব্যবসায়ী বা মার্চেন্টদের মধ্যে ই-রুপির মাধ্যমে লেনদেন শুরু হবে প্রথম পাইলট বেসিসে, তা রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানিয়েছে।
রির্জাভ ব্যাঙ্ক বলছে বর্তমানের ব্যাঙ্ক নোটগুলো থাকবে, তার সাথে নব-সংযোজন হবে ডিজিটাল কারেন্সি বা ই-রুপি কারণ ই-রুপির মাহাত্ম্য ফিজিক্যাল ব্যাঙ্ক নোট বা কাগজের ব্যাঙ্ক নোট থেকে থেকে অনেক বেশি।
ফিজিক্যাল ব্যাঙ্ক নোটের মত ই-রুপিও রিজার্ভ ব্যাঙ্ক দ্বারা ইস্যু করা লিগ্যাল টেন্ডার হিসেবে পরিগণিত হবে। শুধু ই-রুপি ডিজিটাল ফর্মে বা আকার অবস্থানে থাকবে।
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সূত্র অনুযায়ী, হোলসেল সেগমেন্টে ই-রুপি থাকবে একাউন্ট ফর্মে আর রিটেল সেগমেন্টে ই-রুপি থাকবে টোকেন ফর্মে।
ব্যাঙ্কের ডিপোজিট থেকে শুরু করে শেয়ার সার্টিফিকেট বা অন্যান্য সম্পদের প্রমাণপত্র সবকিছুই ধীরে ধীরে ডিজিটাল ফর্ম বা অবস্থানে চলে যাচ্ছে এবং সবাই মিলে জায়গা করে নিচ্ছে ডিজি লকারে। ভার্চুয়াল জগত ক্রমশঃ চিত্তাকর্ষক ও মূল্যবান হয়ে উঠছে।
আর মানুষের জীবনযাত্রা, অনুভূতি ডিজিটাল না হলেও, অনেকটা ডিজিটালি নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে।