সেখ মিলন (ভাতাড়, পূর্ব বর্ধমান) জলের আর এক নাম জীবন। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে জলস্বপ্ন প্রকল্পের মাধ্যমে জনগণের জন্য বাড়ি বাড়ি নলবাহিত বিশুদ্ধ পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু সেই জলের পাইপলাইন থেকেই চুরি হয়ে যাচ্ছে পানীয় জল। অনেকে পানীয় জলের পাইপলাইন থেকে পাম্প লাগিয়ে দোতলা বাড়ির উপরে ট্যাঙ্কে তুলে নিচ্ছেন সেই জল। অপচয় হচ্ছে জল। গরিব আদিবাসী মায়েরা পানীয় জল পাচ্ছেন না। জল অপচয় ও জলচুরির বিরুদ্ধে জেলা পরিষদকে ব্যবস্থা নিতে হবে। বর্ধমান বন বিভাগের উদ্যোগে ভাতারে বনমহোৎসব অনুষ্ঠান থেকে এমনই মন্তব্য করেন রাজ্যের প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। সবুজায়নের লক্ষ্যে এবং পরিবেশকে সুস্থ রাখতে রাজ্য জুড়ে চলছে বনমহোৎসব অরণ্য সপ্তাহ। অন্যান্য জায়গার পাশাপাশি মঙ্গলবার পূর্ব বর্ধমানের ভাতারে ওড়গ্রাম চতুষ্পপল্লী হাই মাদ্রাসায় বর্ধমান বন বিভাগের উদ্যোগে বনমহোৎসব অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি শ্যামাপ্রসন্ন লোহার, আউসগ্রামের বিধায়ক অভেদানন্দ ঠান্ডার, জামালপুরের বিধায়ক অলোক মাঝি, বর্ধমান বনবিভাগের আধিকারিক নিশা গোস্বামী, জেলা পরিষদের বনভূমি কর্মাধ্যক্ষ নিত্যানন্দ ব্যানার্জি, সহকারি বন আধিকারিক সোমনাথ চৌধুরী, ডিএসপি ক্রাইম পূর্ব বর্ধমান সুরজিৎ মন্ডল সহ অন্যান্য আধিকারিক থেকে জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষরা। তবে এদিনের অনুষ্ঠানে ভাতারের বিধায়ক সহ ভাতার পঞ্চায়েত সমিতির কোন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন না। বনদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বনমহোৎসব কর্মসূচিকে সামনে রেখে সাড়ে তিন লক্ষ চারা গাছ বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এদিনের অনুষ্ঠান থেকে সবুজায়নের লক্ষ্যে এবং পরিবেশকে সুস্থ রাখতে অত্যধিক হারে গাছ লাগানো এবং তার পরিচর্যার পাশাপাশি জল সঞ্চয়ের বার্তা দেওয়া হয়। এদিন স্কুল চত্বরে বেশ কিছু গাছ লাগানো হয়। পাশাপাশি ওড়গ্ৰাম চতুষ্পল্লী হাই মাদ্রাসার স্কুলে ছাত্র ছাত্রীদের খেলার মাঠের অভাব রয়েছে।মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ ও জেলা পরিষদের সভাধিপতি শ্যামাপ্রসন্ন লোহার এর কাছে লিখিতভাবে খেলার মাঠের সমস্যার কথা জানান ছাত্র-ছাত্রীরা। সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ ও সভাধিপতি শ্যামাপ্রসন্ন লোহার।