ভবন সংস্কারের অনুমতি চেয়ে এবার ডিভিশন বেঞ্চে লা – মার্টিনিয়া স্কুল
মোল্লা জসিমউদ্দিন ,
এবার কলকাতা হাইকোর্টের গ্রীষ্ম অবকাশকালীন ডিভিশন বেঞ্চের দারস্থ ঐতিহ্যশালী লা-মার্টিনিয়া স্কুল কর্তৃপক্ষ। এই স্কুলভবনকে হেরিটেজ বিল্ডিং হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। বর্তমানে গ্রীষ্মের ছুটি চলছে বিদ্যালয়ে। কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে গেল স্কুল কর্তৃপক্ষ। ‘আগামী ১১ জুন স্কুল খুলবে। ইতিমধ্যে সংস্কারের কাজ শুরু না করলে পঠনপাঠন সম্মুখীন হবে। তাই অবিলম্বে আদালতের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন’। এই দাবি রেখে মামলা দায়েরের অনুমতি চেয়ে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের গ্রীষ্ম অবকাশকালীন ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করল স্কুল কর্তৃপক্ষ। মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ, আগামী ৩ জুন মামলার শুনানির সম্ভাবনা।শতবর্ষ প্রাচীন ভবনে নতুন নির্মাণে আপত্তি জানিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট এর সিঙ্গেল বেঞ্চ । লা মার্টিনিয়ার বয়েজ ও গার্লস স্কুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, -‘তারা রাজ্যের হেরিটেজ কমিশনের কাছে অনুমতি নেয়নি’। কলকাতা হাইকোর্টে স্কুলের সংস্কারের আর্জি নিয়ে দারস্থ হয় স্কুল কর্তৃপক্ষ। কলকাতা হাইকোর্টের গ্রীষ্ম অবকাশকালীন সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি গৌরাঙ্গ কান্ত বলেন, -‘এটা আপনার বাড়ি নয়। সাধারণ স্কুল হলে বুঝতাম। ভুলে যাবেন না, এই স্কুল শহরের হেরিটেজের অঙ্গ। প্রাচীন ঐতিহাসিক ওই স্কুলের চরিত্র বদল করতে হলে হেরিটেজ কমিশনের অনুমতি প্রয়োজন’।পুরসভার আইনজীবী জানিয়েছেন , -‘সেই অনুমতি না নিয়েই ভবনের বেশ কিছু অংশ সংস্কার করতে শুরু করেছিল ওই স্কুলদুটি’। কাজ বন্ধ করার জন্য কলকাতা পুরসভা আপত্তি জানিয়ে নোটিস পাঠায়। সেই নোটিসে আমল না দিয়ে হাইকোর্টে হাজির হয় স্কুল কর্তৃপক্ষ। মামলা দায়ের করে স্কুলের সংস্কারের আর্জি জানায় কর্তৃপক্ষ। কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি গৌরাঙ্গ কান্ত নির্দেশ দেন -‘আপাতত স্কুলে কোনও কাজ করা যাবে না। গরমের ছুটির চার সপ্তাহ পর শুনানি’। আগামী ৩ জুন এই মামলার শুনানি হতে পারে ডিভিশন বেঞ্চে।