সাধন মন্ডল,
বড়দিন উপলক্ষে বাঁকুড়া জেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে উপচে পড়া ভিড় । বাঁকুড়ার রানীমুকুটমনিপুর ছিল জন জোয়ার। তবে সারেঙ্গার বড়দি পাহাড় ও রায়পুরের সবুজদীপ পর্যটন কেন্দ্রে উল্লেখযোগ্য ভিড় ছিল না বলে স্থানীয়রা জানান।রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পর্যটকরা মুকুটমণিপুরে এসেছিলেন তারা সকলেই খুশি বিশেষ করে সাধারণ মানুষের জন্য যে সমস্ত পরিষেবা গুলো থাকা দরকার একটি পর্যটন কেন্দ্রে তার সবটাই হাতের কাছে পেয়ে। বিশেষ করে শৌচাগারের ব্যবস্থা, পানীয় জলের ব্যবস্থা সর্বোপরি পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা। কোন রকম অপ্রীতিকর ঘটনার খবর নেই পুলিশ প্রশাসন সদা সতর্ক ছিল ।কলকাতার বেলঘড়িয়া থেকে আসা শম্পা দাস, বিপাশা রায়চৌধুরী, গার্গী বিশ্বাসরা বলেন আমরা খুব খুশি। খুব ভালো লাগলো এখানে এসে। দীর্ঘ প্রায় দু’বছর কোথাও বেরোনো হয়নি এখানে এসে নৌকাবিহার করলাম খুব ভালো লাগলো। পরেশনাথ মন্দির ,ডিয়ার পার্ক এবং মুসাফিরানা তাছাড়া জলাধারের নীল জলে যখন আমাদের নৌকো ভেসে চলেছে তখন মনের আনন্দই আলাদা ।সর্বোপরি এখানের প্রাকৃতিক পরিবেশ অতি মনোরম। মুকুটমনিপুরের এই সুব্যবস্থা সম্পর্কে বাঁকুড়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাঁথা মুকুটমণিপুর ডেভেলপমেন্ট অথরিটি এর ভাইস চেয়ারম্যান মৃত্যুঞ্জয় মরবো বলেন এবারে যেহেতু জলাধারে জল বেশি রয়েছে তাই আমরা প্রশাসনিকভাবে জলাধারের সামনে রাস্তার দু’পাশে জঙ্গল পরিষ্কার করে পর্যটকদের রান্না করা ও গাড়ি রাখার সুব্যবস্থা করেছি। জলাধারে জল বেশি থাকার কারণে ফাঁকা জায়গা সেভাবে নেই তাছাড়া জলাধারে যাতে কোনরকম বিপদ না ঘটে তার জন্য পুলিশ প্রশাসনকে সতর্ক থাকতে অনুরোধ করা হয়েছিল এবং নৌকোতে নির্দিষ্ট পরিমাণ যাত্রী বহন করার কথা বলা হয়েছিল ।সমস্ত কিছু নিয়ম মেনে হওয়ার ফলে কোন রকম দুর্ঘটনা ঘটেনি। পুলিশ প্রশাসনের সাথে আমাদের দলীয় কর্মীরা ও সতর্ক নজর রেখেছিলেন পর্যটকদের উপর। পর্যটকরা যেমন খুশি হয়ে বাড়ি ফিরতে পারলেন আমরাও তেমনি খুশি তাদের সুন্দর পরিবেশ তুলে দিতে পেরে। এই পর্যটন কেন্দ্রটিকে নতুনভাবে সাজানোর উদ্যোগ নিয়েছেন আমাদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।