Spread the love

ব্লক সভাপতির আশীর্বাদে ‘দুয়ারে কোল’ নামক পোষ্টার ঘিরে চাঞ্চল্য,দুবরাজপুর এলাকায়

সেখ রিয়াজুদ্দিন বীরভূম:- পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে সমস্ত রাজনৈতিক দল যখন ঘুটি সাজাতে বা ঘর গোছানোর কাজে ব্যতিব্যস্ত ঠিক তখনই শাসক দলের নেতাকে ঘিরে এলাকায় চাঞ্চল্য।ঘটনাটি বীরভূম জেলার দুবরাজপুর ব্লকের যশপুর পঞ্চায়েত এলাকায়। উক্ত অঞ্চলের একাধিক জায়গায় তৃনমুল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতির আশীর্বাদে ‘দুয়ারে কোল’ নামক পোষ্টার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। রাতের অন্ধকারে সেই পোষ্টার কে বা কারা সাঁটিয়ে গেছে অজানা। তবে সেই পোষ্টারগুলির মধ্যে স্পষ্ট হরফে লেখা যশপুর অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি মুন্সী মোজাম্মেল হকের শ্যালক সেখ নূর মহম্মদ ও শ্বশুর মোরসেলিমের বিপুল পরিমাণ কয়লা মজুত রয়েছে। কয়েক বছর যাবৎ লরিতে কয়লা পাচার করতেন। ঐ লরীর নম্বর পর্য্ন্ত দিয়েছেন। যার নম্বর WB53C 0296. তাহলে দুবরাজপুর ব্লক তৃনমূল সভাপতির আশীর্বাদ থাকায় কী প্রশাসন কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না, নাকি ভয় পাচ্ছে। তাছাড়াও যশপুর অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি মুন্সী মোজাম্মেল হকের ভাই নাজ্মুল হকের নামেও আবাস প্লাস যোজনার তালিকায় নাম রয়েছে। পাশাপাশি মুন্সী মোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে দুবরাজপুরে জায়গা কেনার কথা, সেনকো গোল্ড বিপনন কেন্দ্র, শপিং মল ও ম্যারেজ হল কেনার জন্য ২৫ কোটি টাকার বিনিয়োগ করার পরিকল্পনা করছেন বলে লেখা আছে। ইতিমধ্যে দুবরাজপুর থানার পুলিশ যশপুর অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি মুন্সী মোজাম্মেল হকের শ্যালক সেখ নূর মহম্মদ এর বাড়ী থেকে অবৈধভাবে মজুদকৃত প্রায় ৫ টন কয়লা বাজেয়াপ্ত করে। তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সহ সভাপতি তথা দলীয় মুখপাত্র মলয় মুখোপাধ্যায় জানান, আমরা দলগত ভাবে তদন্ত করব। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এটাকে নিয়ে কেউ গ্রাম্য রাজনীতি করছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হবে। আসলে কিছু মানুষ কাউকে পছন্দ করছে না। আমরা সবাইকে নিয়ে বসে দলকে কী ভাবে শক্তিশালী করা যায় সেটা দেখছি। পাশাপাশি যশপুর অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি মুন্সী মোজাম্মেল হক জানান, প্রধান বা অঞ্চল সভাপতির আত্মীয় হলেও আবাস যোজনার ঘর পেতে পারে, যদি সে গরিব বা যোগ্য প্রাপক হয় তাহলেই পাবে। আর যদি সে পাওয়ার যোগ্য নয় তাহলে পাবে না। আর যদি অযোগ্য কাউকে দেওয়া হয় তাহলে তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আসলে দলকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করছে বিরোধীরা। পাশাপাশি তাঁর শ্যালকের বাড়িতে কয়লা মজুত প্রসঙ্গে জানান, কে কী ব্যবসা করছে আমার তা দেখার দরকার নেই। এমনকী তার রুজিরোজগার কী করে চলে তা প্রশাসন দেখবে। তাছাড়াও তিনি জানান, আমি কতটা সোনা কিনেছি তার কী কোনো প্রমান আছে। যাঁরা এসব করছে তাঁরা রাজনৈতিক ভাবে ফেলিওর তাই এসব করে বেড়াচ্ছে। অন্যদিকে দুবরাজপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক অনুপ কুমার সাহা জানান, যশপুর অঞ্চলে যে পোষ্টার পড়েছে তাতে স্পষ্ট তৃণমূল সরকার দায়িত্ব নিয়ে এই কয়লা পাচার করছে। আর এতে প্রশাসন সহযোগিতা করছে। তৃণমূল কংগ্রেস কী পদক্ষেপ নিতে পারে তা আমরা জানতে চাই। তৃণমূল কংগ্রেসের যেসসব নেতা রয়েছে তাঁরা কয়লা পাচার, বালি পাচার, জমি কেনাবেচাতে যুক্ত রয়েছে। এই সমস্ত কাজে যেসসব নেতা যুক্ত হবে সেই নেতার বিরুদ্ধে আইনজ্ঞ ব্যবস্থা নেওয়া উচিত বলে আমি মনে করি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *