বেশ কয়েকজন সরকারি আইনজীবীর বদল চায় কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চ

মোল্লা জসিমউদ্দিন

 রাজ্যের হয়ে মামলা লড়তে অনিচ্ছুক কয়েকজন প্যানেলভুক্ত আইনজীবী। আইনী পেশায়  সদিচ্ছার অভাব রয়েছে! সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এমনই বিস্ফোরক পর্যবেক্ষণ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর। জানা গেছে,  এরপরই রাজ্য সরকারের প্যানেল থেকে কয়েকজন আইনজীবীকে বাদ দেওয়ার সুপারিশ করতে চলেছেন তিনি। প্রয়োজনে আইনমন্ত্রী মলয় ঘটকের হস্তক্ষেপ চাওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন। রাজ্য সরকারের আইনজীবীদের নতুন প্যানেল নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করল কলকাতা হাইকোর্ট। প্রয়োজনে ওই প্যানেল থেকে কয়েক জন আইনজীবীর নাম বাদ দেওয়ার সুপারিশ করা হবে বলে জানালেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। প্রয়োজনে আইনমন্ত্রী মলয় ঘটকের হস্তক্ষেপ চাওয়া হবে বলেও জানান তিনি। সম্প্রতি রাজ্য সরকারের আইনজীবীদের প্যানেলে কিছু বদল হয়েছে। পুরনোদের বদলে প্যানেলে জায়গা পেয়েছেন নতুন কয়েক জন আইনজীবী। তাঁদের ভূমিকাতেই মূলত অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বিচারপতি বসু।বিচারপতি বসুর এজলাসে সম্প্রতি একটি মামলায় রাজ্যের আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না। পরে এক আইনজীবী উপস্থিত হন এজলাসে। তবে তিনি (ওই আইনজীবী) মামলার প্রসঙ্গে অবহিত নন। তা দেখে উষ্মাপ্রকাশ করেন বিচারপতি বসু। তাঁর পর্যবেক্ষণ, রাজ্যের আইনজীবীদের মামলা লড়তে সদিচ্ছার অভাব রয়েছে। অনেক গুরুত্বপূর্ণ মামলায় সরকারি আইনজীবীরা হাজির হচ্ছেন না। অনেকে আবার মামলা পড়েও আসছেন না। বিচারপতি সতর্ক করে দেন, এ ভাবে চলতে থাকলে ওই আইনজীবীদের রাজ্যের প্যানেল থেকে বাদ দেওয়ার জন্য সুপারিশ করা হবে।বিচারপতি বসু বলেন, ‘রাজ্যের প্যানেলের কয়েক জন আইনজীবীকে চিনতেই পারছি না। অনেককে হাইকোর্টে প্রথম বার দেখছি। এখন আলিপুর কোর্ট থেকে আইনজীবীদের নিয়ে এসে প্যানেলে জায়গা দেওয়া হয়। এরফলে যা হওয়ার তা-ই হচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ওই আইনজীবীদের রাজ্যের প্যানেল থেকে  বিদায় জানাতে সুপারিশ করব।’ রাজ্যের কৌঁসুলি (জিপি) যাতে পুরো বিষয়টির উপর নজর দেন, সে কথাও জানান বিচারপতি বসু। তিনি সতর্ক করে দেন, অন্যথায় রাজ্যের সরকারি আইনজীবীদের প্যানেলটি আইনমন্ত্রীর কাছেও পাঠানো হবে।অনভিজ্ঞ কয়েকজন আইনজীবী রাজ্য সরকারের প্যানেল ভুক্ত হওয়ায় এই ঘটনা বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। 

Leave a Reply