বেলেঘাটার বিজেপি কর্মী খুনের মামলায় জামিন চেয়ে হাইকোর্টে পরেশ পাল সহ অন্যান্যরা
মোল্লা জসিমউদ্দিন,
আগাম জামিন চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দারস্থ তৃণমূল বিধায়ক সহ কয়েকজন।আজ অর্থাৎ বুধবার এই মামলার শুনানি হতে পারে। বেলেঘাটার বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের খুনের চার্জশিটে নাম রয়েছে তৃণমূল বিধায়ক পরেশ পালের। এবার এই ঘটনায় আগাম জামিনের আবেদন করলেন তিনি। তাঁর সঙ্গে জামিনের আবেদন করেছেন কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ স্বপন সমাদ্দার ও ৩০ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পাপিয়া ঘোষ।গত ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার দিনেই খুন হয়েছিলেন বেলেঘাটার বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকার। এই খুনের ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছিল তৃণমূলের ৩ জনের বিরুদ্ধে। মামলাকারী আইনজীবীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, -‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই পরেশ পাল সহ ৩জনের নাম জড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তদন্তে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত তাঁরা’। কিন্তু আচমকাই সিবিআই তাঁদের চার্জশিটে তৃণমূল বিধায়ক পরেশ পাল, কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ স্বপন সমাদ্দার ও ৩০ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পাপিয়া ঘোষের নাম উল্লেখ করেছে। তার ফলেই আইনি সুরক্ষার কারণেই আগাম জামিনের আবেদন করা হয়েছে।আজ অর্থাৎ বুধবার বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে জামিনের আবেদনের শুনানি হতে পারে। আগামী শুক্রবারের মধ্যে তাঁদের হাজিরার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। হাজিরা দেওয়ার আগে জামিন নিয়ে রাখতে চাইছেন নেতানেত্রীরা।উল্লেখ্য,২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পরে খুন হন কাঁকুড়গাছির বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকার। ওই খুনের তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে যায়। তদন্তে নেমে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সম্প্রতি এই মামলার অন্যতম মূল অভিযুক্ত অরুণ দে গ্রেফতার হন। গত ২ জুলাই বেলেঘাটার তৃণমূল বিধায়ক পরেশ পাল সহ ১৮ জনের নামে চার্জশিট দেওয়া হয়। ৪ জুলাই বিচার ভবনে মামলার শুনানির শুরুতেই বিচারক জানতে চেয়েছিলেন , -‘১৮ জনের মধ্যে কাউকে গ্রেফতার করার চেষ্টা হয়েছিল কি না? উত্তরে সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসার বলেন, ‘না, তা হয়নি।’ বিচারক তখন জানতে চান, -‘কাউকে গ্রেফতার করার দরকার ছিল কিনা?’ এর জবাবে তদন্তকারী অফিসার বলেন, ‘না। ওঁরা সহযোগিতা করছিলেন।’ এই মামলায় তৃণমূল নেতা নেত্রীদের আগেও তলব করা হয়েছিল। এবার ২৬-র বিধানসভা নির্বাচন সামনেই। তার আগেই ফের তলব করা হয়েছে তৃণমূল নেতা নেত্রীদের। হাজিরা দেওয়ার আগে নিজেদের সুরক্ষায় আগাম জামিনের আবেদন করে রেখেছেন তাঁরা।