বেঁচে থাক রাজা বটের ছায়া হয়ে দীর্ঘকাল।

প্রীতিলতা বন্দ্যোপাধ্যায়, পূর্ব বর্ধমান ।

সম্প্রতি মারণ রোগ থ্যালাসেমিয়া জীবন কেড়ে নিয়েছে শাপলা শালুক পত্রিকার সম্পাদক, কবি রাজা দেবনাথকে।

যদিও সশরীরে আমাদের মধ্যে রাজা আজ নেই। মহালয়ার পূণ্য প্রভাতে সকলের মধ্যে বাঁচিয়ে রাখার প্রয়াস শুরু হল বর্ধমান টাউন হল চত্বরে একটি বটবৃক্ষ রোপনের মাধ্যমে। নিজের পত্রিকার সম্পাদক ছাড়াও রাজা একাধিক সংগঠনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে যুক্ত ছিলেন।

এদিন রাজার স্মৃতিতে বর্ধমান টাউন হল মাঠে বট বৃক্ষের চারা রোপণ করা হলো। কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকা রাজার প্রিয় মানুষেরা জানান,বট গাছটি বড় হবে, সেটা শীতল ছায়া দিলে সেখানে মানুষ এসে একটু শান্তিতে বসতে পারবে আর এছাড়াও বটবৃক্ষের যে ফল সেই ফল পাখিরা খেতে পারবে, পাখিদের কল কাকলিতে ভরে উঠবে টাউন হল প্রাঙ্গন। এভাবেই রাজা বেঁচে থাকবে সকল মানুষের মনের মধ্যে।
রাজার বোন শুভ্রার বক্তব্য, আর যেন কোন শিশু থ্যালাসেমিয়া রোগ নিয়ে জন্মগ্রহণ না করে, বিয়ের সময় পুষ্টি বিচার করার আগে পাত্র পাত্রীর রক্ত পরীক্ষা করা আবশ্যিক। আর কোন মানুষ যেন এইরকম মারণ যন্ত্রণায় ছটফট করে না মারা যায়। রাজা কে তারা বাঁচাতে পারেনি, আর যেন কোন রাজা এই ভাবে চলে না যায় অকালে। বটবৃক্ষ রোপনের মাধ্যমে তার দাদা রাজার মতোই চিরদিন মানুষের মনের মধ্যে বেঁচে থাকবে এটাই সবথেকে বড় শান্তি রাজার পরিবারের মধ্যে। বৃক্ষ রোপনের সঙ্গে সঙ্গে আগুনের পরশমণি ছোঁয়াও প্রাণে এই গানটি যেন বারবার বলে উঠছিল সকলের মনের মধ্যে নিঃশব্দে জায়গা করে নিয়েছিল অভিমানী এবং প্রাণচঞ্চল রাজা দেবনাথ।
এদিনের কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন,রাজ্যের প্রাক্তন সহ তথ্য ও সংস্কৃতি অধিকর্তা অরবিন্দ সরকার, গোলাপবাগ পত্রিকার সম্পাদক প্রণব চট্টোপাধ্যায়, বর্ধমান মিউনিসিপাল উচ্চ
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অরুনাভ চক্রবর্তী,বিশিষ্ট সাংবাদিক অরূপ লাহা, সুপ্রকাশ চৌধুরী, ও রাজার একমাত্র বোন শুভ্রা দেবনাথ, রাজা দেবনাথ এর বড়দাদা সমান বিশিষ্ট সাংবাদিক পার্থ চৌধুরী, এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বর্ধমান সহযোদ্ধার সম্পাদক প্রীতিলতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বট মুন্সী।

Leave a Reply