বীরভূমে পরিত্যক্ত পাথর ক্রাশারের অফিসে হানা, উদ্ধার প্রচুর পরিমাণে বিস্ফোরক
সেখ রিয়াজউদ্দিন ,বীরভূম:-
বীরভূমের নলহাটি থানা এলাকার চন্দননগর গ্রামে পাথর খাদানে বিস্ফোরক রাখা আছে বলে গোপন সূত্রে খবর পায় পুলিশ। সেই খবরের ভিত্তিতে শুক্রবার গভীর রাতে উক্ত খাদান এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশ। অভিযানের ফলে খাদানের ঘর থেকে ২৪০০০ জিলেটিন স্টিক, ২১০০০ ডিটোনেটর ও ১৪ বস্তা অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটের খোঁজ পান পুলিশ আধিকারিকরা। শুক্রবার রাতভর চলা তল্লাশিতে উদ্ধার হয় বিপুল পরিমান বিস্ফোরক। পরিত্যক্ত পাথর খাদানের ঘরের মধ্যে বিস্ফোরক ও ডিটোনেটরগুলি রাখা ছিল বলে জানা গিয়েছে।উল্লেখ্য গত একবছরের বেশি আগে রামপুরহাটের বগটুই হত্যাকাণ্ডের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন অবৈধ বোমা, অস্ত্র, বিস্ফোরক উদ্ধারের জন্য। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। পাথর খাদান এলাকাগুলো থেকে বেশ কয়েকটি জায়গায় বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে।উল্লেখ্য রামপুরহাট থানার পুলিশ মাস কয়েক আগেই রদিপুর গ্রাম থেকে বহু পরিমাণ জিলেটিন স্টিক,ও ডিটোনেটর উদ্ধার করেন। এতদসত্ত্বেও পাথর শিল্পাঞ্চল এলাকায় রমরমিয়ে চলছে বিষ্ফোরক জাতীয় জিনিসের ব্যবসা। ইতিপূর্বে ২০২২ সালে বীরভূমের মহম্মদবাজার থানা এলাকার মধ্যে থেকে একটি ট্রাকের ভিতরে ৮১ হাজার জিলেটিন স্টিক উদ্ধার করেছিল এসটিএফ। সেই ঘটনার তদন্তে চন্দননগর গ্রাম সংলগ্ন একটি খাদানে তল্লাশি চালিয়ে পাওয়া গিয়েছিল প্রচুর বিস্ফোরক।উক্ত ঘটনার তদন্তভার নেয় এন আই এ।বৃহস্পতিবার কলকাতা থেকে এন আই এ এর আধিকারিকরা দিল্লিতে তিহাড় জেলে গিয়ে অনুব্রত মন্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে জেরা করেন। তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, সায়গলই পুলিশের সাহায্যে বিস্ফোরক পাচারের জন্য গ্রিন করিডর তৈরি করে দিত।স্থানীয়দের অবশ্য দাবি, এই বিস্ফোরকের সঙ্গে নাশকতার কোনো যোগ নেই। পাথর খাদানে ব্যবহারের জন্যই মূলত এই বিস্ফোরক। স্থানীয় পুলিশ কিন্তু সবকিছুই জানে।