খায়রুল আনাম,
সন্ত্রাসের পরিমাপ নির্ধারণ হয় কী ভাবে? প্রশ্নটা ওঠে বিভিন্ন সময়ে এবং তার ব্যাখ্যাও হয় সে ভাবে এবং যার যেমন প্রয়োজন ঠিক সে ভাবেই। এবারের ৮ জুলাইয়ের এক দফায় রাজ্য জুড়ে পঞ্চায়েত ভোট করার সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক ছিল প্রথম থেকেই। আর পঞ্চায়েত ভোটের দিন সারা দেশ প্রত্যক্ষ করেছে সংস্কৃতির পীঠস্থান বাংলার ভোট পর্বের রঙ মশাল। তাই অশান্তির কারণে পুনরায় ভোট গ্রহণের প্রশ্ন যখন ওঠে তখন স্বাভাবিকভাবেই কোন জেলায় কতগুলি বুথে ফের ভোট নেওয়া হবে, নির্বাচন কমিশনের সেই সিদ্ধান্ত জানার জন্য উদগ্রীব ছিলেন রাজনীতির কারবারিরা। অনেকেই তো বলেই ফেলেছিলেন, ৮ জুলাইয়ের পুরো ভোট বাতিল করে পুনরায় ভোট করা হোক। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের গায়ে যে কালি লেগেছে তাতে আর নতুন করে কালি মাখার জায়গা না থাকায়, কালির ছিটে হিসেবে রাজ্যের ৬৯৬ টি বুথে ১০ জুলাই ফের ভোট নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই তালিকায় বীরভূম জেলার ৬ টি ব্লকে ১৪ টি বুথে ভোট নেওয়া শুরু হয়েছে আশঙ্কার মধ্যেই। ময়ূরেশ্বরে ৬ টি, মুরারইয়ে ১ টি, সিউড়ীতে ১ টি, খয়রাশোলে ৩ টি এবং দুবরাজপুরে ৩ টি বুথে ভোট নেওয়া হচ্ছে। এই বুথগুলিতে ভোট গ্রহণ পর্ব সারাদিন কোন পর্যায়ে থাকবে, তা প্রত্যক্ষ করতে আরও কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হবে। তবে, প্রশ্ন রয়েছে, যাদের জন্য ফের ভোট করাতে হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে কী আইনী ব্যবস্থা নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। সিসিটিভি ক্যামেরা বসিয়ে ব্যয়বহুল নিরাপত্তা ব্যবস্থার উপরে তাহলে নজরদারির অর্থ কী? যার ব্যালট বাক্স বুথ থেকে বের করে নিয়ে গিয়ে ফুটবল খেলায় উন্মত্ত হলো, তাদের বিরুদ্ধে কেন আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হলো না? না কী, এদের দক্ষ খেলোয়াড় হিসেবে পুরস্কৃত করার ও সম্বর্ধনা দেওয়া কথা ভাবছে নির্বাচন কমিশন ?