Spread the love

 বিচারপতি নিয়োগে স্বাধীনতা চান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় 

নিজস্ব প্রতিনিধি, 

যুক্তরাস্ট্রীয় বিচার ব্যবস্থায় স্বাধীনতা চান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । মঙ্গলবার  উত্তরবঙ্গের হাসিমারা যাওয়ার সময় কলকাতা বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন সেই কথা ।  সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম ব্যবস্থা নিয়ে নাম না করে কেন্দ্রকে তোপ দাগেন মমতা। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে তীব্র চাপানউতোর চলছে ।এই পরিস্থিতিতে এবার বিষয়টি নিয়ে সরব হলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সরাসরি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বিচার ব্যবস্থায় হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলে তিনি বলেন,- “বিচার ব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে স্বনির্ভর হওয়া উচিত। কলেজিয়ামের ক্ষেত্রে যেমন কেন্দ্রের সুপারিশ থাকতে পারে, তেমনই রাজ্যগুলিরও প্রতিনিধি থাকা উচিত। কিন্তু, রাজ্যের কোনও সুপারিশ মানা হচ্ছে না। কেন্দ্রীয় সরকার সরাসরি বিচার বিভাগে হস্তক্ষেপ করছে।”বিচারব্যবস্থায় স্বাধীনতার দাবি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “আমরা চাই সকলের জন্য ন্যায়বিচার। বিচার বিভাগে সম্পূর্ণ স্বাধীনতা চাই। গণতন্ত্রের স্বাধীনতা চাই। মন্দির, মসজিদের মতো বিচারব্যবস্থা খুব গুরুত্বপূর্ণ। বিচার বিভাগে কোনও হস্তক্ষেপ চাই না। কিন্তু, হাস্যকর পরিস্থিতি চলছে। আজ গণতন্ত্র বিপন্ন।” উল্লেখ্য , সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম ব্যবস্থা থেকে হাইকোর্টে আইনজীবীদের বিক্ষোভ- গোটা বিচার ব্যবস্থাই বর্তমানে আলোচিত হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে বিচার ব্যবস্থায় সম্পূর্ণ স্বাধীনতার দাবি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর। এদিনের মন্তব্য বিশেষভাবে তাত্‍পর্যপূর্ণ। এদিন বিচার ব্যবস্থায় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে হস্তক্ষেপের অভিযোগ তোলার পাশাপাশি সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বিরুদ্ধেও তোপ দাগেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।বিচারপতি নিয়োগে এক্তিয়ার নিয়ে এখন সুপ্রিম কোর্ট ও কেন্দ্রে মোদী  সরকারের মধ্যে একটা টানাটানি চলছে। কেন্দ্র চায় বিচারপতি নিয়োগে সরকারের মতকেও গুরুত্ব দেওয়া হোক।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন জানান ,-‘  ‘সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়ামে যদি কেন্দ্রের প্রতিনিধিত্ব থাকে তা হলে হাইকোর্টের কলেজিয়ামে রাজ্যের প্রতিনিধিত্ব থাকা উচিত। অর্থাত্‍ কলকাতা হাইকোর্টে কাদের বিচারপতি নিয়োগ করা হবে? তা নিয়ে কলেজিয়ামে সুপারিশ জানাবে রাজ্য সরকার। হাইকোর্টের কলেজিয়াম সেই সুপারিশ সুপ্রিম কোর্টে পাঠাবে। তা সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রের সরকারকে জানাবে। তারপর দেখা যাবে, রাজ্যের সুপারিশের কোনও মূল্যই থাকবে না’।মুখ্যমন্ত্রী এদিন স্পষ্ট অভিযোগ করেন, কেন্দ্র যা করতে চাইছে তা বিচারব্যবস্থার স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করারই সামিল। বিচারপতি নিয়োগে কেন্দ্রের এই হস্তক্ষেপের চেষ্টার বিরুদ্ধে অনেকেই এখন সরব। পর্যবেক্ষকদের মতে, মুখ্যমন্ত্রী বোঝাতে চেয়েছেন মোদী সরকার যা ব্যবস্থা করছে, তাতে কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি নিয়োগের ব্যাপারেও আদালতের কলেজিয়ামের কোনও গুরুত্ব থাকবে না। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *