খায়রুল আনাম,

বীরভূম : কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাতের মধ্যেই, রাজ্য সরকার বাংলার বাড়ি প্রকল্পে উপভোক্তাদের প্রথম কিস্তির টাকা তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দিয়েছে বলে দাবি করছে। এই তালিকা নিয়েও বিস্তর অভিযোগও রয়েছে। বাংলার বাড়ি প্রকল্পে প্রথম কিস্তির যে টাকা পাওয়া গিয়েছে, তা খরচের পরই পরের কিস্তির টাকা দেওয়া হবে। এজেলায় ৫২ হাজার উপভোক্তা বাংলার বাড়ি পেয়েছেন। কিন্তু বড়ি তৈরী করতে গিয়ে বালি নিয়ে সমস্যা দেখা দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কেননা, জেলা প্রশাসনের দিক থেকে রাতদিন বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে বেআইনী বালিঘাট থেকে বালি তোলা প্রায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে প্রশাসন দাবি করছে। আবার এক একটি বালিঘাট থেকে এক এক এলাকার দূরত্ব এতোটাই বেশি যে, তাতে বালি পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়ায় বালির দামও বেশি পড়ছে। যা বাড়ি তৈরীর খরচের সাথে সামঙ্জস্যপূর্ণ হচ্ছে না। আগে যেখানে প্রতি সিএফটি বালির দাম পড়ছিলো ১৮ টাকার মধ্যে, এখন তা পৌঁছে গিয়েছে প্রতি সিএফটি ৩৫ টাকা পর্যন্ত। বিষয়টি নিয়ে জেলাশাসক বিধান রায় সিউড়ীতে ভূমি দপ্তর এবং বিডিওদের নিয়ে আলোচনায় বসে বিস্তারিতভাবে খোঁজখবর নিয়েছেন। কিন্তু সমস্যা সমাধানের সুনির্দিষ্ট কোনও দিশা মেলেনি বলেই জানা গিয়েছে। উপভোক্তারা মনে করছেন, এভাবে চলতে থাকলে বাড়ি তৈরীর প্রথম ধাপের কাজ হবে না। তা না হলে দ্বিতীয় ধাপের টাকাও পাওয়া যাবে না। তাতে সমস্যা বেড়েই যাবে।

Leave a Reply