বাবা ভূতনাথ ধামে বিশেষ পূজা
কোলকাতা (৮ ডিসেম্বর ‘২৪):- ‘হিন্দু সৎকার সমিতি’ -র পরিচালনায় গতকাল কোলকাতার অন্যতম শৈবতীর্থ ‘শ্রী শ্রী ভূতেশ্বর মন্দির’-এ হয়ে গেল ‘বাবা ভূতনাথের সান্নিধ্যে এক সন্ধ্যা’ নামাঙ্কিত এক ধর্মীয় অনুষ্ঠান।
বলে রাখা ভালো, ‘শ্রী শ্রী ভূতেশ্বর মন্দির’-এর অধিপতি দেবতাকে কোলকাতাবাসী ভালোবেসে ‘বাবা ভূতনাথ’ বলে সম্বোধন করে থাকেন।
পত্রকারদের সাথে কথা বলতে গিয়ে ‘হিন্দু সৎকার সমিতি’-র অছি পরিষদের সদস্য সঞ্জয় রায় জানিয়েছেন, “অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে অপরাহ্ণ থেকে আমন্ত্রিত অতিথিদের সম্মুখে মন্দিরের অভ্যন্তরে বিশেষ পূজা, আরতি, ভজন ও কীর্তন-এর ব্যবস্থা করা হয়েছে।”
অপরদিকে হিন্দু সৎকার সমিতির অছি পরিষদের সদস্য তথা সাধারণ সম্পাদক সন্দীপকুমার মুখার্জি বলেছেন,
“লোকশ্রুতি অনুযায়ী, পুরাকালে বারাণসী থেকে আগত এক অঘোরী সন্ন্যাসী গঙ্গা নদীর পূর্ব পাড়ে অবস্থিত নিমতলা শ্মশানের পাশে ‘বাবা ভূতনাথ’-এর পুণ্য লিঙ্গ প্রতিষ্ঠা করে অঘোর মতে নিত্য পুজো শুরু করেন।
শৈবতন্ত্রের অধীন অঘোর মতের রীতি অনুযায়ী শুরুর দিন থেকে এখনো প্রতিদিন প্রত্যুষকালে শ্মশানের চিতা থেকে আহরিত ভস্ম দিয়ে বাবাকে ভস্মস্নান করানো হয়। কোলকাতা বা পশ্চিমবঙ্গে এটাই একমাত্র শিবমন্দির যেখানে প্রতিদিন কাকভোরে পবিত্র শিবলিঙ্গকে ভস্মস্নান করানো হয়।
‘শ্রী শ্রী ভূতেশ্বর মন্দির’-এর ভীত প্রতিষ্ঠা ‘মল্লিক সম্প্রদায়’ করলেও পরে ১৯৩৪ সাল থেকে এই মন্দিরের দেখভাল ও পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে ‘হিন্দু সৎকার সমিতি’।”
গতকালের বিশেষ পূজা ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি রূপে উপস্থিত ছিলেন রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমের স্বামী সর্বহারানন্দ মহারাজ, কোলকাতা পৌরনিগমের অন্যতম পৌরপ্রতিনিধি বিজয় উপাধ্যায় ও তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যতম বরিষ্ঠ নেতা সঞ্জয় বক্সি প্রমুখ ব্যক্তিবর্গ।
ভাব গম্ভীর পরিবেশে ‘বাবা ভূতনাথ ধাম’-এ আয়োজিত ধর্মীয় অনুষ্ঠানটা সুসঞ্চালনা করেন চন্দন ঘোষ ও অজয় পাল।