Spread the love

মোল্লা জসিমউদ্দিন টিপু,
রাজ্যে বকেয়া পুরসভা গুলিতে ভোটপর্বে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নজরদারি বিষয়ে রাজ্যের অবস্থান জানতে চাইলো কলকাতা হাইকোর্ট। বুধবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে এই বিষয়ে শুনানি চলে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর নজরদারিতে রাজ্যের ১০৮টি পুরসভায় ভোট করা সম্ভব? তা  রাজ্যের কাছে জানতে চাইল কলকাতা হাইকোর্ট। ওই পুরএলাকাগুলিতে ভোটপর্ব না শেষ হওয়া  পর্যন্ত ‘দুয়ারে সরকার’, ‘পাড়ায় পাড়ায় সমাধান’ কর্মসূচি বন্ধ রাখা যায় কিনা? এই নিয়ে রাজ্যের কাছে  তথ্য হলফনামা আকারে জানতে চাইল হাইকোর্ট ।আগামী সোমবার মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে । এদিকে, বিধাননগর, চন্দননগর, আসানসোল ও শিলিগুড়ির ভোটকেন্দ্রগুলির সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আদালতের তরফে।গত ১২ ফেব্রুয়ারি রাজ্যের চার পুরনিগম, বিধাননগর, চন্দননগর, আসানসোল এবং শিলিগুড়িতে ভোট হয়। ওই দিন থেকেই বিজেপি দাবি করে, চার পুরনিগমের ভোটে অশান্তি হয়েছে। ১৪ ফেব্রুয়ারি চার পুরনিগমে জয়ী হয় তৃণমূল। পুরভোট নিয়ে প্রয়োজনে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিল বিজেপি। সেই অনুযায়ী ইতিমধ্যে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় বঙ্গ বিজেপি । বুধবার আদালতে সেই মামলার শুনানি হয় কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে।মামলাকারীদের অভিযোগ সম্পর্কে কী ভাবছে রাজ্য সরকার, তা মামলার শুনানিতে জানতে চায় আদালত। আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি রাজ্যের ১০৮টি পুরসভার ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রয়োজনীয়তা আছে? দুয়ারে সরকার পাড়ায় পাড়ায় সমাধান কর্মসূচি বন্ধ রাখা যায়? সে বিষয়ে তথ্য জানতে চায় হাইকোর্ট। রাজ্য সরকার এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে এই মর্মে হলফনামা জমা দিতে বলা হয়। আগামী সোমবার মামলার শুনানি। ওইদিনই হলফনামা জমা দিতে হবে। এছাড়াও রাজ্যের চার পুরনিগমের ভোটকেন্দ্রগুলির সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।উল্লেখ্য, এর আগে কলকাতা পুরভোট এবং রাজ্যের চার পুরনিগমের ভোটেও কেন্দ্রীয় বাহিনীর আরজি জানান বিরোধীরা। । বিধাননগর পুরভোটে বাহিনী প্রয়োজন কিনা, সে বিষয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে সিদ্ধান্ত নিতে বলা হয়। অশান্তি হলে তার দায় নির্বাচন কমিশনকে নিতে হবে বলেও জানায় আদালত। তবে রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনার পর রাজ্য নির্বাচন কমিশন ভোটের দিন নিরাপত্তার দায়িত্ব রাজ্য পুলিশ কে দেয়। বিরোধীদের দাবি, সেই সুযোগেই চার পুরভোটে ব্যাপক অশান্তি করেছে শাসকদল। তবে সে অভিযোগ কার্যত খারিজ করেছে শাসক দল ।কেন্দ্রীয় বাহিনীর নজরদারিতে রাজ্যের ১০৮টি পুরসভায় ভোট করা সম্ভব? রাজ্যের কাছে তা জানতে চাইল কলকাতা হাই কোর্ট।দুয়ারে সরকার, পাড়ায় পাড়ায় সমাধান কর্মসূচি বন্ধ রাখা যায় কিনা, সে সংক্রান্ত তথ্য হলফনামা আকারে জানতে চাইল আদালত।আগামী সোমবার মামলার পরবর্তী শুনানি।এবার ১০৮ পুরসভার ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়েও আদালতে আবেদন করল বিজেপি।আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি ভোট। সেই নির্বাচনের কমপক্ষে ৭২ ঘণ্টা আগে থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার আর্জি। কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোটারদের পরিচয়পত্র পরীক্ষা করার আর্জি জানান বিজেপির আইনজীবী। আদর্শ আচরণ বিধি ভঙ্গের অভিযোগও তুলেছে তাঁরা এদিন।মামলাকারীদের দাবি, একজন নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষক এবং নিরপেক্ষ মাইক্রো অবজার্ভার নিয়োগ করা হোক। বিধাননগর, আসানসোল, শিলিগুড়ি, চন্দননগর ভোটে আদালতের নির্দেশ মানা হয়নি, সেই কারণে রাজ্য নির্বাচন  কমিশনের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপের আবেদন করেছে বিজেপি । চার পুরভোটে অশান্তি, হিংসার অভিযোগও তুলেছে তাঁরা।বজবজ, তারকেশ্বর, দিনহাটা সহ একাধিক পুরসভায় মনোনয়ন দাখিল করতে না দেওয়ারও অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। আর একাধিক জনস্বার্থ মামলার অভিযোগের ভিত্তিতে রাজ্য এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশনের হলফনামা তলব করেছে হাইকোর্ট। ২১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে হলফনামা চেয়েছেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চ।এদিকে, বিধাননগর ৩২ নং ওয়ার্ড সিপিআইএম প্রার্থীকে নিরাপত্তার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চ। চার পুরনিগমের ভোটের সিসি ক্যামেরা ফুটেজ সংরক্ষণ এবং যাবতীয় ভোট নথি সংরক্ষণের নির্দেশ। একই সঙ্গে বিজেপির দাবি, সন্ত্রাস রুখতে রাজ্যের ১০৮টি পুরসভার নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হবে। বিজেপির আইনজীবীর সওয়াল শুনে বিধাননগর, চন্দননগর, আসানসোল ও শিলিগুড়ির ইভিএম সংরক্ষিত রাখার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের  প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।সংবিধান বিশেষজ্ঞ আইনজীবী বৈদূর্য ঘোষাল জানান – ‘”সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নির্বাচন কমিশনের উপর খুব একটা হস্তক্ষেপ গ্রহণ করতে রাজি হয়না আদালত। তবে বারবার অভিযোগ উঠলে তখন বিষয়টি খতিয়ে দেখে আদালত “। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *