বাংলা বর্ষবিদায় ও নববর্ষ আবাহনে রবীন্দ্রভারতী সোসাইটি
পারিজাত মোল্লা ,
শেষ হয়ে আসা বাংলা বছর ১৪৩০ কে বিদায় ও নূতন বছর ১৪৩১ কে স্বাগত জানিয়ে গত বুধবার রবীন্দ্রভারতী সোসাইটি (জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি) তাদের প্রশস্ত লাইব্রেরি ঘরে এক মনোজ্ঞ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। শুরুতে সদস্যা সংঘমিত্রা দেব শ্বেতাশ্বতর উপনিষৎ এর বাণী “শৃণ্বন্তু বিশ্বে অমৃতস্য পুত্রা” পাঠ করে ভাবগম্ভীর পবিত্র পরিবেশের অনুভূতি এনে দেন। এরপর বাংলা সনের বর্ষশেষ ও নববর্ষ নিয়ে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত বিভিন্ন গান ও কবিতার অংশবিশেষ পরিবেশিত হয়। যৌথভাবে মোট ছয়খানি রবীন্দ্রগীতি ও পাঁচটি রবীন্দ্রকবিতা আবৃত্তির মধ্য দিয়ে বর্ষবিদায় ও নববর্ষ আবাহন বন্দিত হয়। গানে ছিলেন শিপ্রা বসু, জয়শ্রী দে,ললিতা সিনহা, শম্পা গুহ রায়চৌধুরী, শিপ্রা রায়, বুলবুলি ঘোষ, বিজয়া নায়ক, দীপ্তি বিশ্বাস, সঞ্চিতা সাহা সহ অন্যান্য সঙ্গীতশিল্পীরা। রবীন্দ্রগানের সাথে তাল মিলিয়ে রবীন্দ্রনৃত্য পরিবেশন করেন অনিমা দাস, সুমিতা রায়, জিনিয়া ঘটক। ভাষ্যপাঠ ও কবিতা আবৃত্তিতে ছিলেন সলিল সরকার, ইরা সর্বজ্ঞ – ভাষ্যরচনায় রঞ্জিত কুমার নায়ক। ঐ একই বিষয়ের উপর ভিত্তি করে সোসাইটির সদস্য/সদস্যা দ্বারা স্বরচিত কবিতা পাঠ করা হয় পর পর; কবিতা পাঠ করেন সুবোধ চন্দ্র সরকার, কবিতা দাস ও সুবিনয় ভট্টাচার্য্য। নববর্ষের দিনটি ঘিরে ব্যক্তিগত বিশেষ অনুভূতির কথা তুলে ধরেন সঙ্গীতশিল্পী গৌতম মুখার্জী, শ্রাবণী ভট্টাচার্য্য, পৌষালী রায়। সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক সিদ্ধার্থ মুখোপাধ্যায় বলেন -‘পুরানো হয়ে যাওয়া বাংলা বছর এবং ভাবী নতুন বছর নিয়ে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর অনেক প্রবন্ধ কবিতা গান ইত্যাদি রচনা করেছেন যা বাংলা সাহিত্যের অমূল্য সম্পদ এবং সাহিত্য ভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করেছে। সোসাইটি এইরকম ছোটো ছোটো আয়োজনের মাধ্যমে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাহিত্যকৃতি, দর্শন ইত্যাদি সমাজের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার কাজে ব্যাপৃত থাকে’। চিত্তাকর্ষক মনকাড়া এই আয়োজনে সদস্য/সদস্যাদের উপস্থিতিতে লাইব্রেরি ঘর হয়ে উঠেছিল পরিপূর্ণ। পরিশেষে সমবেত কণ্ঠে ভারতের জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে অনুষ্ঠান শেষ হয়। সামগ্রিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন সদস্যা দীপ্তি বিশ্বাস ও সঞ্চিতা সাহা।