সাধন মন্ডল,
জঙ্গলমহলের রায়পুর সার্বজনীন দুর্গাপূজার এই মাতৃমূর্তি বিশ্ব বাংলা প্রতিযোগিতায় জেলার সেরার সম্মান ছিনিয়ে নিয়েছে। গতকাল জেলাশাসক জেলার সেরা মন্ডপ, সেরা প্রতিমা,, সেরা পুজো, সেরা কভিড সচেতন পুজো, এই চারটি বিষয়ে প্রতিযোগিতার ফলাফল ঘোষণা ও পুরস্কার ঘোষণা করেন তাতে জেলার সেরা প্রতিমা হিসাবে বিবেচিত হয়েছে খাতড়া মহকুমার রায়পুর সার্বজনীন দুর্গা পুজো কমিটির এই মাতৃমূর্তি। ফল ঘোষণার সাথে সাথেই মণ্ডপে উপস্থিত সদস্য সদস্যাদের মধ্যে আনন্দের বন্যা বয়ে যায়। জঙ্গলমহলের প্রত্যন্ত এলাকা রায়পুর। একদিন এই রায়পুর এলাকার অশান্তির খবর খবরের শিরোনামে থাকতো সেই এলাকায় আজ থেকে 25 বছর আগে কয়েক জন বিশিষ্ট মানুষের উদ্যোগে শুরু হয়েছিল সার্বজনীন দুর্গাপূজা রায়পুর হাই স্কুল মাঠে। আজ 25 বছর ধরে এই পুজো যথাযোগ্য মর্যাদায় অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে এই রজত জয়ন্তী বর্ষে পুজোর বিশেষ থিম পল্লী জননী। সাথে সাথে মন্ডপ অত্যন্ত আকর্ষণীয় করে তুলেছে পূজা কমিটি খড়ের চাল বিশিষ্ট মন্ডপ তার সাথে গ্রাম বাংলার লোকসংস্কৃতি থেকে শুরু করে আজকের দিনের কোভিদ সচেতনতা ও বৃক্ষরোপণ উৎসব এবং আদিবাসী নৃত্যের কথা তুলে ধরেছেন বিভিন্ন ছবির মাধ্যমে যা মণ্ডপে উপস্থিত দর্শনার্থীদের মন ভরিয়ে দিয়েছে। পাঁচমুড়া থেকে আসা শম্পা কুম্ভকার, ইন্দপুর এর সৌরভ মাঝি তালডাংরা জুন মিদ্দা রানিবাঁধ এর বাবলু দে রা বলেন অনেকগুলো পুজোমণ্ডপ ঘুরলাম কিন্তু মন ভরল না রায়পুর সেই আক্ষেপ মিটিয়ে দিয়েছে এখানে পুজো মণ্ডপ ও মাতৃমূর্তি আমাদের খুব ভালো লেগেছে সাথে সাথে পুরানো ঐতিহ্য সংস্কৃতি তুলে ধরেছে মন্ডপের ভিতরে বিভিন্ন চিত্রের মাধ্যমে পূজা কমিটির সম্পাদক সান্তনু মিশ্র বলেন আমাদের এবারের থিম গ্রাম বাংলা বাংলা গ্রাম বাংলার সংস্কৃতিকে তুলে ধরতে চেয়েছি এবং পরিবেশবান্ধব ও কোভিদ সচেতনতা বার্তা দিয়েছি পুজো প্যান্ডেল এর মাধ্যমে সভাপতি বিশ্বজিৎ ঘোষাল বলেন আমরা দর্শনার্থীদের আনন্দ দেওয়ার সাথে সাথে সচেতনতা বার্তা দিয়ে চলেছি কোষাধক্ষ্য তপন দাস বলেন এবারে আমাদের বাজেট প্রায় 15 লক্ষ টাকা এলাকার মানুষের সহযোগিতায় আমরা এবার এই প্যান্ডেল করেছি আশাকরি সকলেই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবেন আমরা গর্বিত বিশ্ববাংলা পক্ষ থেকে আমাদের মাতৃমূর্তি কে জেলার সেরা মূর্তি ঘোষণা করা হয়েছে আমাদের পুজো পঞ্চমীর দিন ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেদিন পূজামণ্ডপে উপস্থিত ছিলেন বাঁকুড়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি তথা রায়পুর বিধানসভার বিধায়ক মৃত্যুঞ্জয় মুর্মু পশ্চিমবঙ্গ সরকারের খাদ্য সরবরাহ দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী জ্যোৎস্না মান্ডি সহ বিশিষ্ট মানুষজন আমাদের খুব সৌভাগ্য যে আমাদের পুজো মুখ্যমন্ত্রীর উদ্বোধন করলেন জঙ্গলমহলের ইতিহাসে এটাও একটা ইতিহাস গতবছর মা মহামায়া পুজো উদ্বোধন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী এবারে সেই রায়পুর ব্লকের আরো একটি সার্বজনীন পুজো উদ্বোধন করলেন তিনি দশমী পর্যন্ত নানান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান থাকছে আমাদের পুজো প্যান্ডেলে সচেতনতা র মধ্য দিয়ে পুজোর দিনগুলি আনন্দে কাটানো অনুরোধ জানান তিনি উল্লেখ্য পুজো প্যান্ডেল প্রবেশের আগেই পুজো কমিটির পক্ষ থেকে উপস্থিত দর্শনার্থীদের মাস্ক ও স্যানিটাইজার দেওয়া হচ্ছে এবং পরিবেশ ঠিক রাত্রি মাঠের মধ্যে অন্তত 50 টি ডাস্টবিন রাখা হয়েছে