শুভদীপ ঋজু মন্ডল,
খাতড়া মহকুমা এলাকার সাধারণ মানুষের কথা ভেবে প্রথম দফায় বাঁকুড়া জেলা পুলিশের উদ্যোগে লোকেশ্বরানন্দ আই ফাউন্ডেশন এর সহযোগিতায় গত ৩০ শে নভেম্বর থেকে খাতড়া মহকুমা এলাকায় যে চক্ষু পরীক্ষা শিবির শুরু হয়েছিল আজ তার সমাপ্তি শিবির অনুষ্ঠিত হলো সিমলাপাল থানা প্রাঙ্গনে। এ দিনের শিবিরে উপস্থিত ছিলেন বাঁকুড়া জেলা পুলিশ সুপার বৈভব তেওয়ারি, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গনেশ বিশ্বাস, খাতড়া মহকুমা পুলিশ আধিকারিক কাশীনাথ মিস্ত্রি, সিমলাপাল সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক অরিজিৎ দাস, লোকেশ্বরানন্দ আই ফাউন্ডেশন এর সম্পাদক রঞ্জনা সেনগুপ্ত, সিমলাপাল পঞ্চায়েত সমিতির স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ কাঞ্চন পাল, সিমলাপাল থানার আইসি তাপস দত্তসহ অন্যান্য পুলিশ অফিসারগণ। এখানে উল্লেখ্য খাতড়া মহকুমা এলাকার নটি থানাতে দশ দিন ধরে শিবির গুলি পরিচালিত হল প্রতিটি থানার পুলিশ কর্মী দের সহযোগিতায়। প্রথম শিবির টি ৩০ শে নভেম্বর জঙ্গলমহলের সারেঙ্গা থানাতে উদ্বোধন করেছিলেন জেলা পুলিশ সুপার বৈভব তেওয়ারি সারেঙ্গা তে দুদিন ধরে শিবির টি চলেছিল বাকি মহকুমা এলাকার আটটি থানাতে একদিন করে শিবির গুলি অনুষ্ঠিত হয় ।১০ দিনের শিবিরে প্রায় ২৬ ০০ মানুষের বিনামূল্যে চক্ষু পরীক্ষা হয়েছে বলে জেলা পুলিশ সুপার জানান, তাদের মধ্যে শত মানুষকে চিহ্নিত করা হয়েছে যাদের চক্ষু ছানি অপারেশন করা হবে। ইতিমধ্যে আড়াইশো জন মানুষের চক্ষু ছানি অপারেশন করে তাদের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গণেশ বিশ্বাস বলেন পলক নামে এই বিনামূল্যে চক্ষু পরীক্ষা শিবিরের মূল উদ্যোক্তা হলেন জেলা পুলিশ সুপার বৈভব তেওয়ারি। পুলিশের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এলাকার মানুষজন। এখানে উল্লেখ্য আজ সিমলাপাল থানা প্রাঙ্গনে প্রায় 300 জন সাধারণ মানুষ উপস্থিত হয়েছিলেন তাদের চক্ষু পরীক্ষা করানোর জন্য উপস্থিত সকলের জন্য দুপুরের আহারের ব্যবস্থা করেছিলেন সিমলাপাল থানা পুলিশ প্রশাসন এখানে উল্লেখ্য সিমলাপাল থানার মূল গেট থেকে অফিস পর্যন্ত ঢালাই রাস্তার উপর সচেতনতার বার্তা লিখে সাধারণ মানুষকে সচেতন করার যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে নারকেল ফাটিয়ে তার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করলেন পুলিশ সুপার বৈভব তেওয়ারি।