বসিরহাট আদালতে বিচারক হেনস্থা মামলায় মঙ্গলে ডিভিশন বেঞ্চের মুখোমুখি অভিযুক্ত ৬ আইনজীবী?
মোল্লা জসিমউদ্দিন,
সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ নিম্ন আদালতের এক এপিপির প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করলো।ইতিপূর্বে বসিরহাট আদালতে এক বিচারককে হেনস্তার ঘটনায় অভিযুক্ত আইনজীবীদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করেছিল ডিভিশন বেঞ্চ । এবার অভিযুক্ত ছয় আইনজীবীকে তলব করল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) অভিযুক্তদের এজলাসে উপস্থিত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সোমবার ওই মামলার শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি স্মিতা দাস দে-র এজলাসে।এদিনও গোটা ঘটনা নিয়ে কড়া মনোভাব দেখিয়েছেন বিচারপতি দেবাংশু বসাক। এদিন এই মামলার শুনানি পর্বে বিচারপতি জানান “আদালতে সিজ ওয়ার্ক হলেই কাজ বন্ধ রাখতে হবে? রাজ্য একজন এপিপির জন্য কেন খরচ করবে?” । তিনি আরও জানান, “ওই আদালতে যেটুকু সামনে এসেছে, এটা তো হিমশৈলের চূড়ামাত্র।” বিচারপতি দেবাংশু বসাক বলেন , -‘এই প্রথম নয়, এর আগে ২০১২ সালে আদালতে কাজ বন্ধের জন্য ফৌজদারি মামলা হয় ওই ছয়জনের বিরুদ্ধে। ওই ছয় আইনজীবী হলফনামায় আবার দাবি করেছেন, ভালো পরিবার থেকে এসেছেন’। অথচ ২০১২ সালেও একই ঘটনায় এদের নামে অভিযোগ আসে। পর্যবেক্ষণ বিচারপতি বসাকের। এদিন ভরা এজলাসে আদালতে টিভি চ্যানেলের ভিডিও চালানো হয়। সেখানে দেখা যায় দুজন বিচারকের বিরুদ্ধে সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন। তাঁদের মধ্যে একজন আবার বারের সেক্রেটারি। এরপরই ওই দুই আইনজীবীকে হলফনামা দিতে নির্দেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ । বসিরহাট আদালতের এপিপি দাবি করেন, -‘আদালতে সিজ ওয়ার্ক চলছিল। তাঁকে বাধা দেওয়া হয়’। বিচারপতি দেবাংশু বসাক বলেন, “ওনাকে বলতে হবে, কে কে ওনাকে বাধা দিয়েছেন।” ওই এপিপির আইনজীবী জয়ন্ত মিত্র বলেন, “ওনাকে যেতে না দিলে উনি কী করবেন? এমন সিজ ওয়ার্ক হাইকোর্টেও হয়। ইচ্ছে থাকলেও আসা যায় না।” বিচারপতি দেবাংশু বসাকের পর্যবেক্ষণ, “নিজের প্রিন্সিপাল থাকা উচিত। উনি এপিপি, এটা মনে রাখতে হবে। রাজ্য খরচ করে কেন এমন এপিপি রাখবে? এরা তো কাউকেই ভয় পায় না।” এরপর অভিযুক্ত আইনজীবীদের আজ হাইকোর্টে উপস্থিত থাকতে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার এই মামলার শুনানি ঘিরে আইনজীবীদের মধ্যে চাঞ্চল্য রয়েছে বলে জানা গেছে।