বর্ধমান সহযোদ্ধার বর্ষপূর্তি উদযাপন
নিজস্ব প্রতিনিধি, বর্ধমান সহযোদ্ধা স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার উদ্যোগে।বৃহস্পতিবার শহর বর্ধমানের লাকুড্ডি জলকল মাঠে সংস্থার বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান ও কৃতি, গুণীজন সংবর্ধনা আয়োজিত হয়। এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধারা। শ্রীমতি ধারা তার বক্তব্যে বলেন,’ -‘ একটা সংস্থা সাফল্য নির্ভর করে তার কাছে বর্ধমান সহযোদ্ধা মানুষের জন্য দীর্ঘদিন ধরে যে কাজ করে আসছে তা অবশ্যই প্রশংসনীয়।’ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি বর্ধমান জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি দেবু টুডু বলেন,’ আজকাল ছেলেমেয়েরা বাবা মাকে দেখছেনা কর্মসূত্রে তারা বিদেশে চলে যাচ্ছে, যার ফলে তাদের মধ্যে মানবিক মন ই করে উঠছে না। মানুষের জন্য যে কাজ করতে হবে সেই বোধ না গড়ে উঠার ফলে সামাজিক কাজ অনেক সময় বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। বর্ধমান সহযোদ্ধার মত এই ধরনের ধরনের সংস্থা যত এগিয়ে আসবে ততই নতুন প্রজন্ম উৎসাহিত হবে এবং প্রকৃতপক্ষে সামাজিক বিকাশ হবে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিশেষ অতিথি বর্ধমান পৌরসভার উপ পৌর প্রশাসক আইনুল হক বলেন, ‘মানুষের চেতনার বিকাশ এবং পিছিয়ে পড়া মানুষের স্বার্থে সহযোদ্ধা যে কাজ করছে তা আগামী দিনে আরও বিকশিত হোক।’ এদিনের অনুষ্ঠানে বর্ধমান রত্ন তুলে দেয়া হয় পদ্মশ্রী প্রাপ্ত জাতীয় শিক্ষক সুজিত চট্টোপাধ্যায়, বিশিষ্ট বাউল শিল্পী স্বপন দত্ত, জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রকৃতিপ্রেমী গাছ মাস্টার অরূপ চৌধুরী, এবং মানুষ মানুষের জন্য সংস্থার সভাপতি শেখ পিন্টু, বিশিষ্ট চিকিৎসক নিতাই পরামানিক এর হাতে। এছাড়াও এ দিন আরও বেশকিছু কৃতি ছাত্র-ছাত্রী ও গুণীজনদের পুরস্কৃত করা হয়। এদিনের অনুষ্ঠানে প্রসঙ্গে বর্ধমান সহযোদ্ধা সম্পাদিকা প্রীতিলতা ব্যানার্জি বলেন,’ প্রতিষ্ঠার দিন থেকে সহযোদ্ধার উদ্দেশ্যই ছিল মানুষের সেবা, বর্ধমান মহিলা থানার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে স্বয়ংসিদ্ধা কর্মসূচি পালন, ঋণে জর্জরিত মানুষের সাহায্যার্থে আইন বিষয়ক ইত্যাদি উদ্যোগ দীর্ঘদিন ধরে সহযোগিতা করছে।’ আগামী দিনেও এই ধরনের কর্মসূচি পালনের মধ্যে দিয়ে সহযোদ্ধা এগিয়ে যাবে বলে দাবি করেন প্রীতিলতা দেবী। অন্যান্যদের মধ্যে এদিন উপস্থিত ছিলেন বর্ধমান মহিলা থানার আইসি বনানী রায়, বিশিষ্ট সমাজসেবী রাসবিহারী হালদার, বিশিষ্ট সমাজসেবী পল্লব দাস বিশিষ্ট চিকিৎসক সৌমিক দাস সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।