বন্যাত্রাণের ৬৯ লক্ষ টাকা গ্রুপ ডি কর্মীর একাউন্টে! শুনানি এ সপ্তাহেই?
বৈদূর্য ঘোষাল ,
বন্যাত্রাণের টাকা নিয়ে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠলো মালদায়।সম্প্রতি এই অভিযোগ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে দাখিল হয়েছে মামলা। এক গ্রুপ-ডি কর্মচারীর অ্যাকাউন্টে বন্যাত্রাণের ৬৯ লক্ষ টাকা পাঠানোর অভিযোগ সংশ্লিষ্ট বিডিও-র বিরুদ্ধে ।এই দুর্নীতির অভিযোগে মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নং ব্লক উন্নয়ণ আধিকারিকের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করল মালদার বাম-কংগ্রেস নেতৃত্ব। চলতি সপ্তাহে এই মামলার শুনানি হাইকোর্টে হতে পারে বলে জানা গেছে। গত ২০১৭ সালের বন্যায় উত্তরবঙ্গের মালদার বিস্তীর্ণ এলাকার বহু বাড়ি ধসে যায় । ক্ষতিগ্রস্ত হয়েহিলন হাজার খানেক এলাকাবাসী । রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্তদের প্রত্যেককে ৭০ হাজার টাকা এবং আংশিক ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা বলা হয় । অভিযোগ, এই বন্যাত্রাণ বিলিতে ৭০ লক্ষ টাকার বেশি ক্ষতিগ্রস্তদের না দিয়ে, এলাকার প্রভাবশালী তৃণমূল নেতৃত্ব তা আত্মসাত্ করেছে । এ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা রুজু করে জেলার বিরোধী বাম-কংগ্রেসের জোট ।এরপরেই এ নিয়ে উপভোক্তাদের তালিকা চেয়ে আরটিআই করে জেলা বাম-কংগ্রেস নেতৃত্ব । গত ১৪ এপ্রিল ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেই তালিকা তুলে দেওয়া হয় ।তবে , সেই তালিকা সম্পূর্ণ নয় বলে অভিযোগ করেছিল কংগ্রেস। কংগ্রেস জানায়, -‘ ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের যে তালিকা তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে, তাতে ক্ষতিগ্রস্তদের নাম ঠিকানা থাকলেও, অ্যাকাউন্ট নম্বর-আইএফএসসি কোড নেই’ । এরই মধ্যে উঠে আসে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য । হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নং ব্লকের গ্রুপ-ডি কর্মীর অ্যাকাউন্টে বন্যাত্রাণের ৬৯ লক্ষ টাকা পাঠানো হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে । এরপর দুর্নীতির অভিযোগে বিডিও-কে যুক্ত করে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা রুজু করা হয়েছে । মালদার সিপিআইএম জেলা নেতৃত্ব জানায় -‘বন্যাত্রাণ দুর্নীতি নিয়ে আমরা আরটিআই করি । তবে, বিডিও আমাদের তালিকা দিচ্ছিলেন না । এরপরে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের নিয়ে ব্লক অফিসের সামনে ধরনা চলে । ব্লক প্রশাসন এর পরে আমাদের হাতে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তুলে দিতে বাধ্য হয় । তবে, তাতেও দেখা যায় তালিকায় ক্ষতিগ্রস্তদের অ্যাকাউন্ট নম্বর-আইএফএসসি কোড নেই । তার পরে আমরা জেলাশাসক, মহকুমাশাসকের কাছে পূর্ণাঙ্গ তালিকা দেওয়ার আবেদন জানাই । জেলা প্রশাসন কোন জবাব দেয়নি ‘। মালদা সিপিএম সূত্রে প্রকাশ – ‘ ভোলানাথ চৌধুরী নামে হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নং ব্লকের এক গ্রুপ-ডি কর্মচারীর অ্যাকাউন্টে ৬৯ লক্ষ টাকা পাঠানো হয়েছে । এই কর্মীর বাড়ি হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লক এলাকার পিপলা গ্রামে । গ্রুপ ডি কর্মীর বাড়ি রাজপ্রাসাদের মত! ‘ চলতি সপ্তাহে কলকাতা হাইকোর্টে এই মামলার শুনানি হতে পারে বলে জানা গেছে।