বন্ধুর সাথে দেখা পরবর্তীতে নাবালিকার দগ্ধ দেহ উদ্ধার, রাজ্যের রিপোর্ট চাইলো হাইকোর্ট
মোল্লা জসিমউদ্দিন,
এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে নিখোঁজ হয় নাবালিকা। পরে উদ্ধার হয় ওই নাবালিকার দগ্ধ দেহ। সোমবার নদিয়ার কৃষ্ণনগর থানা এলাকার আশ্রমপাড়ায় নাবালিকার অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলায় এবার রাজ্যের থেকে কেস ডায়ারি তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী ২৪ মার্চের মধ্যে দিতে হবে এই রিপোর্ট। আদালত সুত্রে প্রকাশ গত বছর ২৪ অক্টোবর নিখোঁজ হয় ওই নাবালিকা।পরের দিন সকাল ৮টা নাগাদ জানতে পারেন তাঁর মেয়ের দগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়েছে।ওই দিনই দুপুর ১টায় থানায় অভিযোগ দায়ের করেন নাবালিকার মা। পরবর্তীতে অভিযোগ, -‘পুলিশ চার্জশিট জমা দিয়েছে ঠিকই কিন্তু বিএনএস ১০১ (খুন) ধারা যুক্ত না করে ১০৮ (আত্মহত্যা) ধারায় চার্জশিট দেয়। তাই সিবিআই বা সিট তৈরি করে যদি তদন্ত করা যায়’। ,সেই আরজি নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন আবেদনকারী।এদিন মামলার শুনানিতে আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় সওয়াল জবাবে বলেন, -‘মেয়েটির ৯০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। ১৫ অক্টবর ২০২৪-এ তিনি নিখোঁজ হন। তারপরের দিনই দেহ উদ্ধার হয়’। ঘটনায় যেন সিবিআই বা অন্য কোনও নিরপেক্ষ তদন্তকারী সংস্থা দিয়ে পুনরায় তদন্ত করার আর্জি জানান তিনি। প্রসঙ্গত, এই মামলায় চার্জশিট দেওয়া হয়েছে স্থানীয় থানার পুলিশের তরফে। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ কেস ডায়েরি জমা করার নির্দেশ দেন। সাথসাথেই আবেদনকারীর আইনজীবী বলেন , -‘কেস ডায়েরিতে ধর্ষণের ধারা যুক্ত করা হয়নি’। বিচারপতি জানান, -‘আগে কেস ডায়েরি দেওয়া হোক, তার ভিত্তিতেই বাকি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এখনও যৌন হেনস্থার কিছু প্রমাণিত হয়নি’।এরপর আইনজীবী প্রশ্ন তোলেন, -‘শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। কীভাবে ধর্ষণের প্রমাণ পাওয়া যাবে?’ বিচারপতি জানান, -‘রাজ্যকে কেস ডায়েরি জমা করতে হবে’। আগামী ২৪ মার্চ মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।