ফুলকুসমা এস আই অফিসে দ্বিতল ভবনের উদ্বোধন
।
সাধন মন্ডল বাঁকুড়া:-১৫ ই অক্টোবর বুধবার রাইপুর ব্লকের ফুলকুসমায় রাইপুর দক্ষিণ চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শকের কার্যালয়ের দ্বিতল ভবনের শুভ উদ্বোধন হলো। ফিতে কেটে ফলা উন্মোচন করে ও প্রদীপ পর্যালনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বাঁকুড়া জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের সংসদ সভাপতি অধ্যাপক ডক্টর শ্যামল সাঁতরা। সাথেই ছিলেন প্রধান অতিথি হিসেবে বাঁকুড়া জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শক জগবন্ধু ব্যানার্জি এছাড়া উপস্থিত ছিলেন রায়পুর সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক উদয়নারায়ন দে জাতীয় শিক্ষক জগবন্ধু মাহাতো বাঁকুড়া জেলা পরিষদের সদস্য রাজকুমার সিংহ, সহকারি বিদ্যালয় পরিদর্শক সঞ্জীব দাস চক্রবর্তী, অনিমেষ সৎপতি, অবসরপ্রাপ্ত এআই বিজয় মন্ডল নিত্যানন্দ গুই সহ এলাকার বিশিষ্ট মানুষজন। আজ ১৫ই অক্টোবর আব্দুল কালামের জন্মদিন এদিন তাকেই ও বিদ্যাসাগরকে স্মরণ করি স্বাগত ভাষণ দেন রায়পুর সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক উদয় নারায়ন দে বলেন শিক্ষা ছাড়া উন্নয়ন সম্ভব নয় তাই শিক্ষক দের মনে রাখতে হবে যে সমস্ত শিশুরা তাদের কাছে আসছেন তাদের প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত করা বইয়ের সাথে সাথে মানবিক শিক্ষা দিতে হবে। সংসদ সভাপতি ডক্টর শ্যামল সাঁতরা বলেন আগের তুলনায় বর্তমানে শিক্ষার প্ররি কাঠামোর উন্নয়ন ঘটেছে ব্যাপকভাবে। তার একটি জ্বলন্ত উদাহরণ জঙ্গলমহলের এই প্রত্যন্ত এলাকার কার্যালয়ের বিতল ভবনের দ্বার উদঘাটন। এরকম রাস্তাঘাট পানীয় জলের সমস্যা বিদ্যালয় নির্মাণ সহ বিভিন্ন কাজকর্ম চলছে। তাছাড়া বর্তমানে ছাত্রছাত্রীদের মিড ডে মিল, পোশাক ,স্কুল ব্যাগ এমনকি বসার জন্য বেঞ্চ এর ব্যবস্থা করা হয়েছে।এই কার্যালয়ে প্রাক্তনবিদ্যালয় পরিদর্শক বললেন এটা ঝোপের মধ্যে ছোট্ট একটা অফিস ছিল। আজ সেটা একটা অফিসের মত রূপ পেয়েছে। সবটাই মা মাটি মানুষের সরকারের অবদান সাথেই আপনাদের সহযোগিতা। শিক্ষার মান উন্নয়ন শিক্ষক শিক্ষিকা ও অভিভাবকদের আরো বেশি বেশি করে সচেতন হতে হবে। শিক্ষকদের সময়ানুবর্তিতা সম্পর্কে সজাগ থাকা বাঞ্ছনীয়। আমি এই পদে যোগদানের পর ২০০ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করেছি প্রতিটি বিদ্যালয়ে সমস্যা সেভাবে নেই কয়েকটি স্কুল ছাড়া সারা জেলায় ছাত্র ও শিক্ষকের অনুপাত এখনো পর্যন্ত ঠিক আছে। তাই পঠন-পাঠনের দিকটা শিক্ষক মশায়দের দেখার জন্য বারে বারে বলে এসেছি। সম্প্রতি প্রতিটি চক্রে প্রধান শিক্ষকদের নিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠদানের বিষয়টি নিয়ে বিশেষ শিবির করা হবে।” এই মঞ্চেও ঘুরেফিরে এসেছে বাঁকুড়া ঝাড়গ্রাম নয় নম্বর রাজ্য সড়কের কথা। রাজ্য সড়ক নির্মাণের সাথে সাথেই তা ভেঙ্গে পড়েছে সিমলাপাল থেকে ফুলকুসমা পর্যন্ত রাস্তা বড় বড় গর্তে ভর্তি যে কোন সময় বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। আধিকারিকরা বাঁকুড়া থেকে আসতে গিয়ে যে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছেন সেগুলি তুলে ধরেন।