প্রয়াত সুব্রত মুখার্জি ছিলেন বিধান শিশু উদ্যানের ‘আপনজন’ ,
মোল্লা জসিমউদ্দিন টিপু ,
সুব্রত মুখার্জি ছিলেন বিধান শিশু উদ্যানের অন্যতম শুভানুধ্যায়ী। শত ব্যাস্ততার মধ্যেও উদ্যানের আমন্ত্রণ কখনো ফেরাননি তিনি।মারণ ভাইরাস করোনা আবহে লকডাউনের সময়েও ফোনের মাধ্যমে বিধান শিশু উদ্যানের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকেছেন। বিশেষ করে চলতি বছরের ২৮ আগষ্ট বিধান শিশু উদ্যানের প্রাণপুরুষ অতুল্য ঘোষের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে। অতুল্য ঘোষের প্রতি সুব্রত দা’র শ্রদ্ধা তাঁর বক্তব্যে প্রকাশ পেতো। একবার অতুল্য ঘোষের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেছিলেন – “অতুল্য দা ছাত্রপরিষদ প্রতিষ্ঠা না করলে হয়তো আমাদের রাজনীতিতে আসা হতো না। প্রিয় দা (প্রিয়রঞ্জন দাসমুন্সি) থেকে শুরু করে আমাদের মুখ্যমন্ত্রী ( মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) পর্যন্ত আমরা সবাই ছাত্রপরিষদের মাধ্যমে রাজনীতি করেই উঠে এসেছি”।এই প্রসঙ্গে উল্লেখ করা যেতে পারে, গত ১৯৫৪ সালের ২৮ আগষ্ট তাঁর জন্মদিনে তাঁর ৮৩ বি কারবালা ট্যাঙ্ক লেনের বাসভবনে অতুল্য ঘোষ পত্রপরিষদ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।সুব্রত মুখার্জির চলে যাওয়া বিধান শিশু উদ্যানের কাছে অপূরণীয় ক্ষতি।যেকোনো ধরনের অসুবিধার মধ্যে সুব্রত মুখার্জির পরামর্শ থেকে কখনো বঞ্চিত হয়নি বিধান শিশু উদ্যান । এই উদ্যানের কোনো অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানালে, কখনো জানতে চাইতেন না অনুষ্ঠানে আর কারা কারা থাকবেন।প্রয়াত সুব্রত মুখার্জির উপস্থিতি যেকোনো অনুষ্ঠানকে অন্য মাত্রায় পৌঁছে দিত। সুব্রত বাবুর কোনো রাজনৈতিক ছুঁতমার্গ ছিল না। অসুস্থতার আগে পর্যন্ত প্রায় রোজই সুপ্রভাতের একটা মেসেজ পাঠাতেন বিধান শিশু উদ্যানের সম্পাদক গৌতম তালুকদার মহাশয় কে। প্রয়াত নেতার সঙ্গে চলে গেল অতুল্য ঘোষ, প্রফুল্ল সেনদের ঘরানার রাজনীতির ধারা ।বিধান শিশু উদ্যানের সম্পাদক গৌতম তালুকদার বলেন – ” বিধান শিশু উদ্যানের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন তিনি, আমরা শোকাহত এই পরোপকারী নেতার প্রয়াণে”।