প্রাথমিকে তৃতীয় দফায় সর্বমোট চাকরি গেল ২৫৫ জন অযোগ্য শিক্ষকের
মোল্লা জসিমউদ্দিন,
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী অভিযুক্ত প্রাথমিক শিক্ষকদের আত্মপক্ষ সমর্থনে সূযোগ দিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে চাকরি গেল আপাতত ২৫৫ জনের।২৬৮ জন প্রাথমিক শিক্ষকদের মধ্যে চাকরি বাতিল ২৫৫ জনের, চাকরি বহাল মাত্র ২ জনের, ১ জন কে ১০ হাজার টাকার আর্থিক জরিমানা হয়েছে। এখনও ১০ জনের হলফনামা বিষয়ক শুনানি রয়েছে পরবর্তী শুনানিতে।তাহলে দেখা যাচ্ছে ২৬৮ জন শিক্ষকদের মধ্যে বহাল আপাতত ২ জন।যা শতাংশ বিচারে এক ভাগেরও কম! বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের আগেকার ২৬৮ জনের চাকরি বাতিল ঘোষণার নির্দেশ যে ভূল ছিলনা তা এই পরিসংখ্যান স্পষ্ট ইংগিত দেয়।
বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে আরও ৫৯ জন শিক্ষকের চাকরি বাতিল করার নির্দেশ জারি করা হয়েছে । পাশাপাশি তাঁদের বেতন বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়। এই নিয়ে সব মিলিয়ে ২৫৫ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল করা হল।বৃহস্পতিবার ৬১ জন ‘অবৈধ’ প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি সংক্রান্ত আবেদনের শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোর্টে। তাঁদের নথিপত্র খতিয়ে দেখার পর ৫৯ জন প্রার্থীর চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁরা আর স্কুলে যেতে পারবেন না বলে আদালত আদেশনামায় উল্লেখ করেছে । এর পাশাপাশি তাঁদের বেতন বন্ধেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষক হিসাবে কর্মরত বাকি ২ আবেদনকারীর মামলা পরে শুনবে আদালত।গত বুধবারই ১৪৩ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট । প্রাথমিকে বেআইনি ভাবে যাঁরা চাকরি পেয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে ১৪৬ জন প্রাথমিক শিক্ষকের আবেদনের শুনানি ছিল গত বুধবার। ওইদিন বিচারপতি তাঁদের সমস্ত নথি খতিয়ে দেখেন। ১৪৬ জনের মধ্যে ১৪৩ জনেরই চাকরি বাতিলের নির্দেশ বহাল রাখেন তিনি। অবিলম্বে তাঁদের বেতন বন্ধেরও নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার আরও ৫৯ জনের চাকরি বাতিল করলেন তিনি।এর আগে ডিসেম্বরেও প্রাথমিকে কর্মরত ৫৩ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবারের নির্দেশের পর সব মিলিয়ে ২৫৫ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল করা হল।প্রসঙ্গত, প্রাথমিকে কারচুপি করে চাকরি পাওয়ার অভিযোগে গত বছরই ২৬৮ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল করেছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিযুক্ত শিক্ষকেরা। তবে শীর্ষ আদালত তাঁদের সাফ জানায়, কলকাতা হাইকোর্টেই তাঁদের মামলা শোনা হবে।বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানি চলে। সেখানে ৫৯ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল ঘোষণা হয়।এর আগে ১৪৩ এবং তার আগে ৫৩ জন সর্বমোট ২৫৫ জনের চাকরি বাতিল হলো। ২ জন বহাল হয়েছে তাদের প্রশ্নভূল মামলায় অতিরিক্ত ৬ নাম্বার যুক্ত হওয়াতে। ১ জনের ১০ হাজার টাকার আর্থিক জরিমানা হয়েছে। বাকি ১০ জনের হলফনামা বিষয়ক শুনানি রয়েছে পরবর্তী শুনানির তারিখে।