প্রবল বর্ষণে নিউটাউন – সল্টলেকে কন্ট্রোল রুম
খায়রুল আনাম,
, চলতি বর্ষায় গত মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে ননস্টপ বৃষ্টি। আর এতেই মহানগর কলকাতার পাশাপাশি নিউটাউন – সল্টলেকে বানভাসি অবস্থা।এজন্য প্রশাসনের তরফে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। পাশাপাশি হেল্পলাইন চালু হয়েছে। বিদ্যুৎ ভববে বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরুপ বিশ্বাস ভিডিও কনফারেন্সে তদারকি চালাচ্ছেন। শহরের নীচু এলাকাগুলিতে নিকাশী ব্যবস্থার জন্য আগে থেকেই প্রস্তুতি সেরে রেখেছিল কলকাতা পুরসভা। নিউটাউন, সল্টলেকে ভারী বৃষ্টিতে জল জমে বিপত্তি দেখা দেয় প্রতিবারই। তাই আগে থেকেই কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে, চালু হয়েছে হেল্পলাইন নম্বর। আলিপুরের অশোকা রোডের ৭৪ নম্বর ওয়ার্ড জলমগ্ন। এন্টালি, ঠনঠনিয়া, চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ, পার্ক স্ট্রিট, এ জে সি বসু রোড, শরত্ বসু রোড, পার্ক সার্কাস, আলিপুর রোড, সাহাপুর রোড, শেক্সপিয়ার সরণি সবজায়গাতেই জলে থৈ থৈ করছে। শহরের নীচু এলাকাগুলো যেমন ইএম বাইপাস, বেহালার কিছু অংশ, জোকা, গার্ডেন রিচ, যাদবপুর-টালিগঞ্জের কিছু এলাকায় নিকাশি ব্যবস্থার জন্য আগেই প্রস্তুতি সেরে রেখেছে পুরসভা। বিদ্যুত্ দফতরের আধিকারিকরাও প্রতিটি ওয়ার্ডে নজর রাখছেন। জমা জলে বিদ্যুত্ঘটিত দুর্ঘটনা এড়াতে সতর্ক করা হচ্ছে। জলবন্দি মানুষজনকে সরিয়ে নিয়ে যেতে পুরকর্মীদের সঙ্গে কোমর বেঁধে নেমেছে কলকাতা পুলিশ। বাগজোলা খাল উপচে পড়ে যাতে বিপত্তি না বাড়ে সে জন্য গত সপ্তাহেই দফায় দফায় বৈঠক করেছে নিউ টাউন কলকাতা উন্নয়ন পরিষদের (এনকেডিএ) ও বিধাননগর পুরসভা। বালির বস্তা ফেলে জল আটকানোর ব্যবস্থা হয়েছে বাগজোলায়। অন্যদিকে সল্টলেকের নীচু এলাকাগুলো থেকে জল বের করতে ১২০টি পাম্প তৈরি রাখা হয়েছে। নিউটাউনে তৈরি আছে ১০০টি পাম্প। ২৪ ঘণ্টার কন্ট্রোল রুম চালু হয়েছে নিউটাউন ও সল্টলেকে। গত দিনে বৃষ্টি হয়েছে – আলিপুরে ৮৭ মিলিমিটার, দমদম ৪৭ মিলিমিটার, সল্টলেক ৫১.৬ মিলিমিটার, ডায়মন্ড হারবার ১৫০ মিলিমিটার, সাগরদ্বীপ ১৫২.৪ মিলিমিটার, কাকদ্বীপ ৬৫.৮ মিলিমিটার, হলদিয়া ২১৬.৪ মিলিমিটার, কন্টাই ১০৩.২ মিলিমিটার, খড়্গপুর ১৭১ মিলিমিটার, মোহনপুর ১৯২.২ মিলিমিটার, মেদিনীপুর ১৭০.৮ মিলিমিটার, ঝাড়গ্রাম ৭২.৪ মিলিমিটার।জরুরিকালীন অবস্থার জন্য কন্ট্রোল রুম খুলেছে কেএমসি—২২৮৬-১২১২/১৩১৩, কলকাতা পুলিশের কন্ট্রোল রুম-২২১৪-৩২৩০, ট্রাফিক কন্ট্রোল রুম—২২১৪-৩৬৪৪, জরুরি অবস্থার জন্য ও কোনও পরিষেবা পেতে হলে ফোন করা যাবে ২২৫২-১১৬৫ এই নম্বরে। এখন দেখার কতদিন চলে এই ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ।