প্রগতিশীল জাতীয়তাবাদী সাহিত্য ও সংস্কৃতি মঞ্চ-র আত্মপ্রকাশ ,
সেখ সামসুদ্দিন ও অভিজিৎ হাজরা, হাওড়া, ২৯ মার্চঃ কলকাতা প্রেস ক্লাবের কনফারেন্স হলে কবি, সাহিত্যিক, লেখক, শিল্পীদের নতুন সংগঠন” প্রগতিশীল জাতীয়তাবাদী সাহিত্য ও সংস্কৃতি মঞ্চ” – আত্মপ্রকাশ করে। আজ এই মহতী অনুষ্ঠানে রাজ্যের ক্রেতা ও সুরক্ষা মন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাতো -র উপস্থিতি অনুষ্ঠানকে বর্ণময় ও আলোকউজ্জ্বল করে তোলে। উপস্থিত ছিলেন ডাঃ অনির্বাণ কুন্ডু, ডাঃ সিরাজুল ইসলাম ঢালি, ডাঃ মহিতোষ গায়েন, রবীন্দ্র গবেষক ডাঃ সমীর শীল, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড.অপূর্ব বিশ্বাস, বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী ড. মুকুল চক্রবর্তী, বিশিষ্ট কবি রঞ্জনা গুহ, বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী সুজাতা দে, বিশিষ্ট শিক্ষক ও কবি অজয় ভট্টাচার্য। এছাড়াও ছিলেন একঝাঁক কবি, সাহিত্যিক, লেখক ও শিল্পী। বিশিষ্ট সাহিত্য সংগঠক, সমাজসেবী,গাছকাকু হিসাবে পরিচিত এই সংগঠনের মূল উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠাতা চন্দ্রনাথ বসু বলেন,”মা মাটি মানুষের মনের কথা তুলে ধরা, বাংলা ভাষা বেশি ব্যবহার, অন্য ভাষা জোর করে চাপিয়ে দেওয়ার বিরুদ্ধে জনমত গঠন করার জন্য এই সংগঠনের জম্ম। আমাদের উদ্দেশ্য নতুন প্রজন্মের কবি, সাহিত্যিক, লেখক, শিল্পীদের সন্ধান ও প্রবীণ কবি, সাহিত্যিক, লেখক, শিল্পীদের সম্মান প্রদান করা, নতুন কবি, সাহিত্যিক, লেখক, শিল্পীদের প্রতিভাকে বিকশিত করার সুযোগ দেওয়া, তাদের প্রতিভা জনসমক্ষে তুলে ধরা। দুঃস্থ কবি, সাহিত্যিক, লেখক,ও, শিল্পীরা যাতে সরকারি ভাতা পায় তার জন্য চেষ্টা করা। আগামী দিনে প্রতি জেলায় এই সংগঠন তৈরির উদ্যোগ গ্ৰহণ করা”। সভার শুরুতেই কলকাতা প্রেস ক্লাবের বাইরে নেতাজী, বিদ্যাসাগর, নজরুল ইসলাম, বিবেকানন্দ এর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন উপস্থিত অতিথিবৃন্দ। কলকাতা প্রেস ক্লাবের সভাকক্ষে কবি, সাহিত্যিক, লেখক ও শিল্পীদের কলম থেকে যাতে সরকারি উন্নয়নের উপর লেখা বের হয়, সেইজন্য ’কলম’ দিয়ে লিখে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন উপস্থিত অতিথিবৃন্দ। সংগঠনের মূল উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠাতা চন্দ্রনাথ বসু বলেন,”বিগত দিনে বামফ্রন্ট আমলে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি অনুষ্ঠানে কবি সম্মেলনে সি পি এম, বামফ্রন্ট মনোভাবাপন্ন কবি, লেখক, সাহিত্যিক, শিল্পীদের আমন্ত্রণ করে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের সুযোগ দিত। রাজ্যের শাসন ক্ষমতা পরিবর্তন হয়েছে। দল পরিবর্তন করে যে সমস্ত কবি, সাহিত্যিক, লেখক, শিল্পীরা তৃণমূল কংগ্রেস দলে যোগদান করেছে, বর্তমানে তারাই বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি অনুষ্ঠানে কবি, সাহিত্যিক, লেখক ও শিল্পী সম্মেলনে তাদের পূর্ব পরিচিত পচ্ছন্দের কবি, সাহিত্যিক, লেখক ও শিল্পীদের আমন্ত্রণ করে তাদের অনুষ্ঠান করার সুযোগ করে দিচ্ছে। ব্রাত্য থেকে যাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস মনোভাবাপন্ন কবি, সাহিত্যিক, লেখক ও শিল্পীরা।তৃণমূল কংগ্রেস মনোভাবাপন্ন কবি, সাহিত্যিক, লেখক ও শিল্পীদের একছাতার তলায় নিয়ে এসে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তাদের নিয়ে অনুষ্ঠান করার জন্য এই সংগঠনের আত্মপ্রকাশ। আমরা চাই কবি, সাহিত্যিক, লেখক ও শিল্পীদের কলম দিয়ে সরকারের উন্নয়নের কথা উঠে আসুক এবং তা সারা রাজ্যের প্রতিটি মানুষের কাছে পৌঁছে যাক। আমরা চাই এই সংগঠনের কমিটি সারা রাজ্যের প্রতিটি জেলায় গড়তে।সমস্ত জেলা কমিটি গঠন হয়ে গেলে তাদের মধ্য থেকে অভিজ্ঞদের নিয়ে রাজ্য কমিটি গঠন করা হবে। এরপর এই সংগঠনের বৃহৎ আকারের রাজ্য সম্মেলন কলকাতার বুকে করে আমরা আমাদের দাবি আদায়ের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দেবো। আমরা সরকারের কাছ থেকে আমাদের দাবি আদায়ের জন্য সর্বদা সচেষ্ট থাকবো। রাজ্যের ক্রেতা ও সুরক্ষা মন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাতো বলেন, “রাজ্যে এই ধরণের একটি প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজন ছিল। চন্দ্রনাথ বসু উদ্যোগ নিয়ে এই সংগঠনের জন্ম দিলেন। সংগঠনের উদ্যেশ্য ও লক্ষ্য অভাবনীয়। আমি চাই এই সংগঠন যেন রাজ্যের প্রতিটি জেলায় কমিটি গঠন করে নিয়মিত কর্মসূচি পালন করে অবহেলিত, প্রতিভাধর প্রবীণ – নবীন কবি, সাহিত্যিক, লেখক ও শিল্পীদের এই মঞ্চে নিয়ে এসে তাদের অভাব – অভিযোগ শুনে তা সমাধানে সচেষ্ট হন। নবীন কবি, সাহিত্যিক, লেখক ও শিল্পীদের সমাজের আলোয় নিয়ে এসে তাদের যথাযোগ্য সম্মান দিয়ে সমাজের প্রতিষ্ঠিত করার জন্য তাদের পাশে থেকে তাদের এগিয়ে নিয়ে যাবে। এই অনুষ্ঠানে রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে ২০০ (দুইশত) জন কবি, সাহিত্যিক, লেখক ও শিল্পী উপস্থিত ছিলেন।