প্রকাশিত হলো ‘কাব্যতরী’ সাহিত্য পত্রিকা
নীহারিকা মুখার্জ্জী
গত কয়েক দিন ধরে ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের সৌজন্যে আকাশ থাকছিল মেঘলা সঙ্গে বৃষ্টি। আবহাওয়া দপ্তরের ইঙ্গিত ছিল আরও কয়েকদিন বৃষ্টি হতে পারে। এদিকে এগিয়ে আসছে ‘মানসকন্যা’ ‘কাব্যতরী’ সাহিত্য পত্রিকার প্রকাশ ক্ষণ। অতিথিদের আমন্ত্রণ সহ সমস্ত আয়োজন শেষ। স্বাভাবিক ভাবেই গভীর উদ্বেগের মধ্যে দিন কাটছিল পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক তথা প্রাণপুরুষ প্রবীর চৌধুরীর।
অবশেষে সব আশঙ্কা দূর করে গত ৯ ই ডিসেম্বর আন্তরিকতার মধ্যে দিয়ে যাদবপুর অন্নপূর্ণার ‘বকুল দত্ত’ সভাগৃহে উপস্থিত অতিথিদের হাত ধরে আত্মপ্রকাশ ঘটে ‘কাব্যতরী’ সাহিত্য পত্রিকার বইমেলা সংখ্যা-২০২৪। সঙ্গে অনুষ্ঠিত হয় তৃতীয় বৎসর কবিতা উৎসব।
পত্রিকা প্রকাশ অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে আয়োজিত হয় একটি সুন্দর ও আকর্ষণীয় সাহিত্যানুষ্ঠানের। অনুষ্ঠান শুরুর অনেক আগে থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রানের উচ্ছ্বাসে ও গভীর আন্তরিকতায় সাহিত্যকে ভালবেসে একে একে হাজির হন সাহিত্য প্রিয় সত্তর জন কবি-সাহিত্যিক। উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে তাদের যথাযোগ্য সম্মান দিয়ে বরণ করা হয়। প্রত্যেকের হাতে তুলে দেওয়া হয় পত্রিকার সৌজন্য সংখ্যা, মানপত্র ও একটি করে কলম।
অনুষ্ঠানে ‘অনিল কুমার চৌধুরী স্মৃতি' পুরস্কারের জন্য মনোনীত হন কবি মানিক দাক্ষিত এবং অসমের কবি-সাংবাদিক আসাদউদ্দিন তালুকদার ও গৌতম দাশগুপ্ত। যদিও অনিবার্য কারণবশতঃ শ্রী দাশগুপ্ত উপস্থিত থাকতে পারেননি।
বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রায় ষাটজন কবি স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন। সাহিত্য বিষয়ক আলোচনায় এক সময় অনুষ্ঠানটি অন্য উচ্চতায় পৌঁছে যায় এবং প্রকৃত অর্থেই প্রানবন্ত ও সাহিত্যময় হয়ে ওঠে ।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কবি-সাহিত্যিক অজিতেশ নাগ, বৈজয়ন্ত রাহা, পিনাকী বসু, কবি-সাংবাদিক বরুণ চক্রবর্তী, সাহিত্যিক দিলীপ রায়, প্রকাশক নিগমানন্দ, কবি মানিক দাক্ষিত সহ আরও অনেক বিশিষ্ট কবি-সাহিত্যিক।
বৃষ্টির আশঙ্কাকে উপেক্ষা করে সাহিত্যের টানে দূর থেকে আসা কবি-সাহিত্যিকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে প্রবীর বাবু বলেন – আজ সত্যিই খুব আনন্দের দিন। বাংলার অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি-সাহিত্যিকদের উপস্থিতিতে সভাগৃহ পরিণত হয়েছিল মিলন মেলায়। আশাকরি আগামীদিনেও এদের সঙ্গে সঙ্গে নতুন নতুন প্রতিভাদেরও পাশে পাব।