পুস্তক দিবসে বই পেয়ে খুশি জঙ্গলমহলের পড়ুয়ারা
। শুভ দীপ ঋজু মন্ডল বাঁকুড়া:—আজ ২রা জানুয়ারি পুস্তক দিবস। পশ্চিমবঙ্গের সরকার পোষিত সমস্ত প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠরত ছাত্রছাত্রীদের বিনামূল্যে পুস্তক বিতরণ করা হলো । আজকের এই দিনটি শিক্ষা বর্ষের প্রথম কর্ম দিবস এই দিনেই ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে শ্রেণী অনুযায়ী নতুন বই তুলে দেওয়া হয় এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে সাজা সাজো রব ।তারা নতুন বই পেয়ে খুশি বই পাওয়ার পর তারা নতুন বইয়ের গন্ধ শুকতে শুকতে আনন্দে আত্মহারা শিশুরা। আজ জঙ্গলমহলের সারেঙ্গা ব্লকের নেতুরপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উদ্যোগে এই দিনটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হল শুধু পুস্তক বিতরণ নয় হল নবীনবরণ ও পঠন মেলা। এদিন নবাগত ছাত্র-ছাত্রীদের বরণ অনুষ্ঠান ও তাদের হাতে নতুন বই তুলে দেওয়া হয় এছাড়া শিশুশ্রেণী থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীদের হাতে নতুন বই তুলে দেন অনুষ্ঠানে আগত অতিথিবৃন্দ ও বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকা বৃন্দ। ও আমার দেশের মাটি দেশাত্মবোধক সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা কবিতা আবৃত্তি, নৃত্য প্রদর্শন করে। আজকের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সহকারী বিদ্যালয় পরিদর্শক সঞ্জীব দাস চক্রবর্তী,প্রাথমিক শিক্ষা বাঁকুড়া।ডিপিএসসি বিদ্যালয় পরিদর্শক
অনিমেষ সৎপতি, সহকারী বিদ্যালয় পরিদর্শক, ডি পি এস সি , বাঁকুড়া। মথুরা প্রসাদ আদিকারী, সহকারী বিদ্যালয় পরিদর্শক, ডি পি এস সি, বাঁকুড়া। সমীর কুমার কর, সহকারী বিদ্যালয় পরিদর্শক, ছাতনা ব্লক। সোনালী মুর্মু, অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক, সরেঙ্গা চক্র। সারেঙ্গা চক্রের মিড ডে মিল দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার সুব্রত চন্দ প্রমূখ। ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে নতুন বই তুলে দিয়ে সহকারী বিদ্যালয় পরিদর্শক সঞ্জীব দাস চক্রবর্তী বলেন এই বই বছরে একবার মাত্র পাওয়া যায় তাই ছাত্র-ছাত্রী সহ উপস্থিত অভিভাবক অভিভাবকদের কাছে তিনি আবেদন জানান বইটি যেন যত্ন করে রাখা হয় কারণ এই একটিমাত্র বই ছাত্র-ছাত্রীরা সারা বছর ধরে পড়বে। অন্য সহকারি বিদ্যালয় পরিদর্শক অনিমেষ সৎপতি বলেন বিদ্যালয়ের পরিকাঠামো ও নিয়ম শৃঙ্খলা আমাদের কাছে খুব গর্বের। জেলায় এই ধরনের বিদ্যালয় হাতে গোনা মাত্র। বিদ্যালয়ের নিয়ম শৃঙ্খলা কে কুর্নিশ জানাই। সারেঙ্গাচক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক সোনালী মুর্মু বলেন বিদ্যালয়টি খুব প্রাণ উজ্জ্বল সারা বছর ধরেই বিদ্যালয়টিতে নানান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও সমাজ সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান হয়ে থাকে আমি প্রায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকি ছেলেমেয়েদের শ্রদ্ধাবোধ আমাকে খুব আকর্ষণ করে। এখানেই বিশেষ ভাবে উল্লেখ্য এই বিদ্যালয়ের উদ্যোগে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল তা এলাকার মানুষের সহযোগিতায় সাফল্য লাভ করে। তরানের মত একটি সমাজ সেবামূলক কাজ বিদ্যালয়ের উদ্যোগে হয়ে থাকে সেই বিদ্যালয়টি আমাদের কাছে খুব গর্বের। বিদ্যালয়ের এই সুন্দর পরিবেশ গড়ে তোলায় প্রধান শিক্ষক সহ সহকারি শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সাথে অভিভাবকদের সহযোগিতাকে তিনি সাধুবাদ জানান। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাধন কুমার মন্ডল বলেন আমরা আমাদের সীমাবদ্ধ ক্ষমতার মধ্য দিয়ে সহকারী শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নিয়ে বিদ্যালয়টি পরিচালনা করে থাকি। অভিভাবকদের অকুণ্ঠ সহযোগিতায় আমাদের বিদ্যালয়টি জেলায় গৌরবান্বিত হোক এই কামনা করি। আমাদের প্রাণপ্রিয় ছাত্রছাত্রীরা যেমন আমাদের শ্রদ্ধা করে তেমনি ওদের সাথে আমরা অবসর সময়ে একাত্ম হয়ে ক্যারাম খেলি ,ক্রিকেট খেলি, কবাডি খেলি , ছোটবেলার রান্না বাটি খেলি,তাছাড়া বছরে একটা দিন আনন্দ সহকারে হইহুল্লোড় করে মুক্ত বায়ু ভ্রমণ শিবির করি এবং বনভোজনে মেতে ওঠি।