কলকাতার পার্ক হোটেলে দুদিন ধরে চলছে বিকিকিনির হাট হার স্টোরি
নিজস্ব প্রতিনিধি,
আজকাল কলকাতাতেও হাট বসছে। যেমন পার্ক হোটেলের গ্যালাক্সি হলে সকাল ১১টা থেকে রাত ৮ টা বঙ্গ রমণীর সাধ মেটাতে হার ‘স্টোরি হাট’ বসেছে দুদিনের জন্য। ২৪ ও ২৫ জুন। এমন কোনো বস্তু নেই যা না আছে এখানে। শৈল্পিকরীতি মেনে ন্যায্য দামের হাজারও রকমারী ফিউশন ডিজাইনার পোশাক, উপহার সামগ্রী, অহংকারী অলঙ্কার, লিনেন, ম্যুরাল, হস্তশিল্প শিল্পদ্রব্য, মাটির তৈরি সামগ্রী, কাঠ খোদাই, কিউরিও, ক্রিস্টাল, চর্ম ও পাটজাত দ্রব্য, সেরামিক ইত্যাদি ইত্যাদি।প্রধান আকর্ষণ অভিনেত্রী রচনা ব্যানার্জির রচনা ক্রিয়েশন ও রান্নাঘরের সুদীপার নিজস্ব শাড়ির কালেকশন। এছাড়াও প্রায় ৫০ জন মেলায় অংশ নিয়েছেন তাঁদের পসরা নিয়ে। অবশ্যই একান্তই মেয়েদের জন্য। তাই তো উদ্যোক্তা ফেয়ার মিডিয়া মেলার নাম দিয়েছে ‘হার স্টোরি’। মেলার শৈল্পিক আবেদনের সঙ্গে আছে উদ্যোক্তা ফেয়ার মিডিয়ার বারো বছরের অভিজ্ঞতা। সংস্থাটি ভারতের এক সুপ্রতিষ্ঠিত বাণিজ্যিক মেলা সংগঠনকারী। ২০০৯ থেকে মধ্যপ্রদেশ, হায়দরাবাদ, রাঁচি, ইন্দোর, নাগপুর
মুম্বাই, শিলিগুড়িতে সাফল্যের সঙ্গে ইন্ডিয়ান ডিজাইনার’স হাট এর আয়োজন করেছে। আসন্ন বাংলার সেরা উৎসবের প্রেক্ষিতে পার্ক হোটেলের মেলায় উৎসাহী মহিলা ক্রেতার ভিড় চোখে পড়ার মত।মহিলাদের উপস্থিতিতে মনে পড়ে যাচ্ছিল মোঘল আমলের মিনা বাজারের কথা। সে আমলে মেলার দিনগুলিকে বলা হতো খুশ রোজ। অর্থাৎ খুশির দিন। বাদশা হুমায়ূনের মস্তিষ্কপ্রসূত এই মেলার ঐতিহ্য ধরে রাখেন সম্রাট আকবর পর্যন্ত। বিক্রেতা হতেন সম্ভ্রান্ত ঘরের মহিলারা, ক্রেতাও হতেন সম্ভ্রান্ত ঘরের মহিলারাও। যুগ পাল্টেছে। এখন ঐতিহাসিক মিনা বাজারের পরশ পেতে অবশ্যই আসতে হবে পার্ক হোটেলের হার স্টোরি হাটে। কমপক্ষে ৫ হাজার টাকার কেনাকাটা করলেই মিলছে সুনিশ্চিত উপহার। সর্বোচ্চ ১০জন ক্রেতার জন্য আছে সৌভাগ্যের সূচক রুপোর টাকা।উদ্যোক্তার পক্ষে কর্ণধার দেবাশিস চ্যাটার্জি বলেন,-“আমাদের পরিকল্পিত এই হাটে শুধু পণ্যের কেনা বেচা উদ্দেশ্য নয়, মহিলা ডিজাইনার ও মহিলা উদ্যোগীদের স্বনির্ভর হয়ে উঠতে সহযোগিতা করা হয়। প্রতিষ্ঠিত মহিলা উদ্যোগীদের পাশে নতুন উদ্যোগীদের এনেছি।শৈল্পিক গুণ আর দক্ষতার পরিচয় দিয়ে এই নবাগত উদ্যোগীরাও ক্রেতার কাছে স্বীকৃতি পাচ্ছেন। এটাও আমাদের বড় পাওনা”। ব্যক্তিগতভাবে দেবাশিস বাবু একজন পেশাদার চাটার্ড একাউন্টেন্ট।কিন্তু পেশার পাশাপাশি সামাজিক দায়বদ্ধতার তাড়নাও তাঁকে ভাবিয়েছে। তাঁর স্পষ্ট কথা,শিক্ষা শেষে চাকরির পেছনে না ছুটে নিজস্ব উদ্যোগ গড়ে তোলা দরকার।আমরা এমন নতুন বহু উদ্যোগীদের পাশে থেকে আমাদের সাধ্যমত সহযোগিতা করি। দুদিনব্যাপী হার স্টোরি হাটে প্রথমদিনে হাজির হন অভিনেত্রী পারিজাত চক্রবর্তী, রান্নাঘরের সঞ্চালিকা সুদীপা চ্যাটার্জি।সংস্থার প্রাণপুরুষ দেবাশিস চ্যাটার্জির সঙ্গে সহযোগী দেবশ্রী চ্যাটার্জি,ঋতুপর্ণা চৌধুরী, দেবজিত, সোমেন, প্রাণতোষ ও সৌরভের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফসল এই সার্থক আকর্ষণীয় মেলা হার স্টোরি।