পর্ষদের অফিস থেকে টেটপ্রার্থী কে চাকরির ফোন,তদন্তভার সিবিআই কে
সম্প্রীতি মোল্লা ,
পর্ষদ অফিস থেকে টেট প্রার্থী কে চাকরির ফোন, তদন্তভার গেল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের হাতে। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গেল বেঞ্চে এক মামলার শুনানি পর্বে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। এক চাকরিপ্রার্থীকে ফোনে জানানো হয়েছিল, শিক্ষা পর্ষদের অফিসে এলে তিনি চাকরি পাবেন । এই ফোন কোথা থেকে এল? তা খুঁজে বের করতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। প্রার্থীকে মোবাইল থেকে ফোন করে বলা হয়েছিল, -‘অফিসে এলেই চাকরি হয়ে যাবে’ ।শিক্ষকের চাকরির প্রস্তাব দিয়ে ফোন এসেছিল এক টেট পরীক্ষার্থীর কাছে। তবে সেই ফোনে তাঁকে চাকরি পাওয়ার কয়েকটি শর্ত দেওয়া হয়েছিল। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতির কাছে এমনই অভিযোগ জানালেন এক টেট পরীক্ষার্থী। যা শুনেই অবিলম্বে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়। এই ঘটনায় বিচারপতি সিবিআইকে ওই ফোন নম্বর খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিলেন । এদিন এক আইনজীবী বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে বলেন, “শিল্পা চক্রবর্তী নামের এক প্রার্থীকে ফোন করে বলা হয়েছে, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিস থেকে ফোন করা হচ্ছে । এখানে এসে দেখা করলে আপনার চাকরি হয়ে যাবে ।” এই বিষয়ে সত্যতা খতিয়ে দেখতে সিবিআইকে তদন্ত করে দেখার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায় । ওই ফোন নম্বর আদৌ ভুয়ো কি না, তা খতিয়ে দেখবে সিবিআই । উল্লেখ্য, বেআইনি নিয়োগের অভিযোগে বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায় প্রাথমিকে ১৯৬ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল করেছেন । এছাড়া গ্রুপ-সি, গ্রুপ-ডি-সহ উচ্চমাধ্যমিক ও মাধ্যমিক স্তরে কয়েকশো প্রার্থীর চাকরি বাতিল করেছেন তিনি । পাশাপাশি আইন বহির্ভূত নিয়োগের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে সিবিআই তদন্ত চলছে । ওই আইনজীবী আদালতকে জানিয়েছেন, -‘ ফোনটি এসেছিল ২০১৭ সালের ৬ ডিসেম্বর। ফোনে ওই ছাত্রীকে বলা হয়েছিল, ”আপনি কি টেট পরীক্ষা দিয়েছেন? চাকরি হয়ে যাবে। কিন্তু তার জন্য পর্ষদের অফিসে আসতে হবে। দেখাও করতে হবে পর্ষদ সভাপতির সঙ্গে।” শিল্পার আইনজীবী জানিয়েছেন, যিনি ফোন করেছিলেন, তিনি অবশ্য স্পষ্ট করে বলেননি, কোন পর্ষদের অফিসে যাওয়ার কথা বলছেন তিনি। কারণ পশ্চিমবঙ্গে একাধিক শিক্ষা পর্ষদ রয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের পাশাপাশি মধ্য শিক্ষা পর্ষদও রয়েছে। তবে অনুমান যে হেতু পরীক্ষার্থী টেট পরীক্ষা দিয়েছিলেন, তাই ওই রহস্যময় ব্যক্তি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কথাই বলে থাকবেন। তবে পুরোটাই তদন্তসাপেক্ষ। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গেল বেঞ্চের তরফে জানানো হয়েছে -‘ সিবিআইকে খতিয়ে দেখতে হবে, কবে, কোথা থেকে, কে ওই ফোন করেছিলেন। এমনকি, ওই ফোনের কল রেকর্ডিংও সিবিআইকে দেখতে হবে ‘। নিয়োগ জালিয়াতিতে এই কান্ডে কাদের দিকে অভিযোগ উঠে?তার দিকে তাকিয়ে অনেকেই।