পর্যাপ্ত সেচের জলের দাবিতে কৃষকদের পথ অবরোধ, রবি মরসুম নিয়েও অনিশ্চয়তা
সাধন মন্ডল, বাঁকুড়া
জলাধার থেকে অপরিকল্পিত ভাবে জল ছাড়া এবং সেচ খালের রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে চরম সেচ সংকটে পড়েছেন বাঁকুড়ার খাতড়া ব্লকের একাধিক মৌজার কৃষকরা। আমন মরসুমে জমিতে সেচের জল না পৌঁছনোয় যেমন চাষে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে, তেমনই আসন্ন রবি মরসুমেও জল পাওয়া নিয়ে তৈরি হয়েছে গভীর সংশয়।
এরই প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার খাতড়ার সাহেববাঁধ মোড়ে বাঁকুড়া–রানীবাঁধ রাজ্য সড়ক অবরোধে সামিল হন মাহারডিহি, পাটপুর, বড়মেট্যালা, দাঁড়শোল ও বান্দরখোন্দা সহ পাঁচ-ছ’টি মৌজার শতাধিক কৃষক। প্রায় এক ঘণ্টা অবরোধ চলায় ওই সড়কে যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ থাকে। ফলে সমস্যায় পড়েন নিত্যযাত্রীরা।
স্থানীয় কৃষক বাহাদুর রজকের অভিযোগ, চলতি বর্ষায় টানা নিম্নচাপের ফলে কানায় কানায় ভরে যায় মুকুটমনিপুর জলাধার। জলস্তরের উচ্চতা বেড়ে যাওয়ায় চাপ কমাতে দেড় মাস ধরে নদীপথে জল ছাড়তে বাধ্য হয় সেচ দফতর। বর্তমানে বেশ কয়েকদিন বৃষ্টি না হওয়ার কারণে সেচের জন্য জল ছাড়া হলেও তা খালের শেষ প্রান্তে পৌঁছচ্ছে না। ফলে আমাদের কৃষিজমির ধান শুকিয়ে যাচ্ছে।
স্থানীয় কৃষক অমর মাহাতো, প্রাণনাথ প্রামাণিকদের দাবি, অপরিকল্পিত ভাবে জলাধার থেকে নদীতে জল ছাড়ার পাশাপাশি সেচ খালগুলির যথাযথ মেরামতির অভাবেই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। অবিলম্বে পদক্ষেপ না করলে আমন চাষ যেমন ব্যাহত হবে, তেমনই আগামী রবি মরসুমও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা করছি আমরা।
দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে আগামী দিনে আরও বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন আন্দোলনকারীরা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
কংসাবতী সেচ দপ্তরের এক আধিকারিক জানান, সবাই যাতে ঠিকঠাক ভাবে সেচের জল পান, সেই চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রশাসনের হস্তক্ষেপে এক ঘন্টা পর অবরোধ উঠে যায়।