পনেরো বছর পর সেচ দপ্তরে নিয়োগের জটিলতা কাটালো হাইকোর্ট
মুকুল বিশ্বাস ,
দু এক বছর নয়,পনেরো বছর পর সেচ দপ্তরের কর্মী নিয়োগের নির্দেশ জারি করেছে কলকাতা হাইকোর্ট।প্রসঙ্গত, সেচ দফতরে কর্মীদের নিয়োগ নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছিল । সেই নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি বেরিয়েছিল গত ২০০৭ সালে । আর তার ঠিক পনেরো বছর পর গত সোমবার সেচ দফতরে কর্মীদের নিয়োগের নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। আদালত সূত্রে প্রকাশ , গত ২০০৭ সালে সেচ দফতরে রাজ্যে ১ হাজার ৪০০ জন মত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারি করে থাকে । সেই কর্মী নিয়োগ নিয়ে তৈরি হয়েছিল আইনী জটিলতা । তার পনের বছর পর সোমবার সেচ দফতরে ফের কর্মী নিয়োগের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট । ২০০৭ সালের নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিটি কোন সংবাদপত্রে প্রকাশ করা হয়নি। ময়ূরাক্ষী ক্যানেল সার্কেলে ৮৪ জনের রোল নম্বর-সহ নিয়োগ প্যানেল প্রকাশ হয় ২০১০ সালের ২৪ জুলাই। ফের ওই বছরই ১২ অগস্ট নাম-সহ বিস্তারিত দিয়ে দ্বিতীয় প্যানেল প্রকাশ হয়। সেখানে প্রথম প্যানেলের ৮৪ জনের নাম বাতিল করা হয়। আবেদনকারীরা মামলা করেন আদালতে । এর পাশাপাশি কিছু প্রার্থী রাজ্যের নিয়োগ চ্যালেঞ্জ করে মামলা করেছিলেন। তখন নিয়োগ প্রক্রিয়া হাইকোর্ট স্থগিতাদেশ জারি করে থাকে। তালিকায় নাম থাকাদের একাংশ সুপ্রিমকোর্টে যায় আপিল পিটিশন দাখিল করে। এই নিয়োগে ৫৭ হাজার প্রার্থী ছিল। তাই সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন না-হলেও নিয়োগ বৈধ ঘোষণা করে সুপ্রিম কোর্ট ।এবার ময়ূরাক্ষী ক্যানেলের প্রার্থীরা সুপ্রিম কোর্টে তাঁদের নাম দ্বিতীয় তালিকা থেকে বাদ পড়ার অভিযোগ নিয়ে যান। সুপ্রিম কোর্ট সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালে মামলার অনুমতি দেয় । ট্রাইব্যুনাল প্রথম প্যানেলের নাম থাকাদের চাকরি দেওয়ার আবেদন খারিজ করে থাকে । তাঁরা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করেন। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্য জানায়, -‘ প্রথম প্যানেলে ভুল করে রোল নম্বরের জায়গায় প্রার্থীদের সিক্রেট কোড প্রকাশ করা হয়ে গিয়েছে’। ঘটনাক্রমে , এই ৮৪ জনের সিক্রেট কোড দ্বিতীয় তালিকায় যাদের নাম উঠেছে! তাঁদের রোল নম্বরের সঙ্গে মিলে যাচ্ছে, দেখে বিস্ময় প্রকাশ করে ডিভিশন বেঞ্চ । রোল ও সিক্রেট কোড প্যার্টান একরকম হতেই পারে না, এমনই পর্যবেক্ষণ ডিভিশন বেঞ্চের। মামলাকারী আইনজীবী জানিয়েছেন , -‘প্রথম তালিকায় যাদের নাম উঠেছিল তাঁদেরই আট সপ্তাহের মধ্যে চাকরি দিতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে আদালত’।