পঞ্চায়েত ভোটের আগে তৃণমূলের বিবাদ মঙ্গলকোটে?
নিজস্ব প্রতিনিধি,
গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তৎকালীন বিধায়ক সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী বনাম তৎকালীন ব্লক তৃণমূল সভাপতি অপূর্ব চৌধুরীর দলীয় প্রতীক পাওয়া নিয়ে একটা রাজনৈতিক আভ্যন্তরীণ বিবাদের ‘ইতিহাস’ ছিল। কুড়ির কাছাকাছি মাদক মামলায় জড়িয়েছিল সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীর অনুগামীরা। বর্তমানে সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী মন্তেশ্বরের বিধায়ক।সেসময়কার ব্লক তৃণমূল সভাপতি অপূর্ব চৌধুরী বর্তমানে এলাকার জনপ্রিয় বিধায়ক।বর্তমানে শাসক দলের বিবাদ টা অঞ্চল ভিক্তিক।যদিও বিরোধী দল গুলির দাবি -‘ এটি কৃত্তিম বিবাদ, যাতে তৃণমূল ছাড়া অন্য কোন দল মঙ্গলকোটে মাটি না পায়’। এবার অভিযোগের পাশাপাশি পাল্টা অভিযোগের ছবি ধরা পরল মঙ্গলকোটের পালিগ্রাম অঞ্চলের মাঝিখাড়া গ্রামে । মাঝিখাড়া গ্রামের কিছু ব্যক্তি নিজেদেরকে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী বলে দাবি রেখে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি শেখ রহিম এবং উপপ্রধান শেখ মজনুর বিরুদ্ধে সোচ্চার হলেন । তাদের অভিযোগ আমরা দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূল কংগ্রেস করে আসছি । শান্ত এলাকাকে অশান্ত করছে অঞ্চল নেতৃত্ব । এবারে পঞ্চায়েত ভোট ঠিক হলে এলাকায় ২০ % ভোট তৃণমূল পাবে না! এর পাশাপাশি মৃত ব্যক্তির নামে ঘর নিয়ে দুর্নীতি, অঞ্চলে বিশাল বালি ট্যাগ সহ বিভিন্ন ধরনের দুর্নীতি সামনে আনলেন তারা । তাদের দাবি নুতন কমিটি গঠন করে অঞ্চল পরিচালনা করা হোক, তা না হলে আগামী পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলের অন্তর্ঘাত বাড়বে।তবে এই দাবি সম্পূর্ণ উড়িয়ে দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের পালিগ্রাম অঞ্চল সভাপতি শেখ রহিম । তিনি জানান -” যারা দলের বিরুদ্ধে মুখ খুলছে তারা কোনমতেই তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত নয় । গত বিধানসভা ভোটে বাপ্পা মল্লিক সহ অন্যান্যরা বিজেপির হয়ে কাজ করেছিল । সিপিএম এবং বিজেপির আঁতাতে এলাকাকে উত্তপ্ত করার চেষ্টা চলছে । যারা উত্তপ্ত করানোর চেষ্টা করছেন তারা সকলেই বালি মাফিয়া” । মাঝিখাড়া মৌজায় আইনত স্বীকৃতি ঘাট থেকে বালি না তুলে নবগ্রাম এলাকা থেকে অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে বালি তুলছেন বালি মাফিয়ারা । এই বিষয়ে বাধা সৃষ্টি করার জন্যই আজ দলের দুর্নাম করার চেষ্টা করছে । তিনি আরও বলেন -“এলাকায় এক কাঠা জমি অথবা তার নামে ব্যাংকে পঞ্চাশ হাজার টাকা নগদ দেখালে তিনি দল থেকে সরে দাঁড়াবেন । যদিও বিরোধীদের এই প্রচেষ্টা কোনমতে সফলতা পাবে না । দলের বিরুদ্ধে এই কুৎসার বিষয়ে দল অবগত আছে । সঠিক সময়ে রাজনৈতিকভাবে দল ব্যবস্থা নেবে “।জানা গেছে, মঙ্গলকোটের পালিগ্রাম অঞ্চলে অজয় নদের বালিঘাটের দখল বেদখল নিয়ে প্রায়শই উত্তেজনায় থাকেন উপকূলে থাকা স্থানীয় মানুষজন।তৃণমূল সুত্রে জানানো হয়েছে – ” দলের মধ্যে কোন বিবাদ নেই, সবাই এলাকার সামগ্রিক উন্নয়নের সাথে রয়েছে “।