নুতন বিচারপতি পেল কলকাতা হাইকোর্ট,শুন্যপদ এখনও ২৮

মোল্লা জসিমউদ্দিন ,

কলকাতা হাইকোর্টের শুন্যপদে বিচারপতি সংখ্যা ২৯ জন ছিল।সেখানে মাত্র ১ জনের নিয়োগ ঘটলো।এখনও শুন্যপদে বিচারপতি দরকার ২৮ জন। চলতি সপ্তাহে নতুন বিচারপতি পেল কলকাতা হাইকোর্ট। অতিরিক্ত বিচারপতি হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে চৈতালি চট্টোপাধ্যায় দাসকে। তিনি বর্তমানে হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল পদে রয়েছেন। তাঁকে আপাতত দু’বছরের জন্য অতিরিক্ত বিচারপতির দায়িত্ব দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের আইন মন্ত্রক। চৈতালি কে বিচারপতি হিসাবে নিয়োগের বিষয়ে হাইকোর্টের কলেজিয়াম থেকে প্রস্তাব আগেই গিয়েছিল। জানা গেছে সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম থেকে অতিরিক্ত বিচারপতি হিসাবে চৈতালির নাম পাশ হয়েছিল ২০২৪ সালের ৪ জানুয়ারি। এত দিনে আইন মন্ত্রকের অনুমোদন এল। চলতি সপ্তাহে এ বিষয়ে বিবৃতি দিয়ে কেন্দ্র জানিয়েছে, -‘কলকাতা হাইকোর্টে দু’বছরের জন্য অতিরিক্ত বিচারপতির দায়িত্ব দেওয়া হল চৈতালিকে’। রাষ্ট্রপতি তাঁকে নিয়োগ করেছেন। কলকাতা হাইকোর্টে মোট বিচারপতি থাকার কথা ৭২ জন। তবে কলকাতা হাইকোর্টে সেই সংখ্যা অনেকটাই কম। এত দিন হাইকোর্টে মোট ৪৩ জন বিচারপতি ছিলেন। চৈতালির নিয়োগের পর সেই সংখ্যা হল ৪৪। অর্থাৎ, এখনও প্রয়োজনের তুলনায় ২৮ জন বিচারপতি কম রয়েছেন ।জীবিকা নির্বাহ নিয়ে আর্থিক সংকটে কলকাতা হাইকোর্টের সিংহভাগ আইনজীবী? অনেক মামলার শুনানি সর্বপরি রায়দান না হওয়ায় মক্কেলদের ফি থেকে একপ্রকার বঞ্চিত তাঁরা। মক্কেলদের কাছে কটুকথা শোনাটা এখন অনেক আইনজীবীদের কাছে জলভাত হয়ে গেছে। জানা গেছে, ১৫ হাজারের মত আইনজীবী এবং তাঁদের ল ক্লার্ক ধরলে আরও ১৫ হাজার সর্বপরি ৩০ হাজারের বেশি আইনী পেশার সাথে যুক্ত ব্যক্তিদের আইনী পেশা বর্তমানে সংকটে। ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টের বার এসোসিয়েশন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সহ কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রীর কাছে লিখিত আবেদনে দ্রুত শুন্যপদে বিচারপতি নিয়োগের দাবি রেখেছে। ২০২২ সালের পর কলকাতা হাইকোর্টে নুতন করে বিচারপতি নিয়োগ হয়নি।২০১৪ সালের নিরিখে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সংখ্যা ৭২।বর্তমান সময়ের সাথে জনসংখ্যার হিসাব করলে আরও বিচারপতি সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়া উচিত বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। বিচারপতির শূন্য পদ থাকায় মামলার শুনানি করা যাচ্ছে না। রয়েছে মামলার দীর্ঘসূত্রিতাও। এরফলে সাধারণ মানুষের সমস্যা হচ্ছে।শুধু কলকাতা হাইকোর্টেই ৭২টি বিচারপতি পদ থাকলেও, বিচারপতি আছেন মাত্র ৪৩ জন।নুতন বিচারপতি নিয়োগে সেটা দাঁড়ালো ৪৪ জন। ২৮ জন বিচারপতির পদ শুন্য।৪০% শূন্যপদ রেখেই বিচারদানে কচ্ছপের গতিতে যেন এগুচ্ছে কলকাতা হাইকোর্ট। এরফলে মামলা জমে থাকছে। শুধু হাইকোর্টেই ২ লক্ষের বেশি মামলা জমে আছে। দেওয়ানি মামলা প্রায় ১ লক্ষ ৫৫ হাজার,ফৌজদারি মামলার সংখ্যা ২৮ হাজারের বেশি, অরিজিনাল সাইডের মামলা ১৭ হাজার মত ।ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে নুতন একজন বিচারপতি নিয়োগে বিচারদানে গতি একটু বৃদ্ধি পেল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

Leave a Reply