নিবেদিতা কন্যা বিদ্যালয়ে পূর্ব বর্ধমানে আয়োজিত হলো জেলা পুলিশের কর্মসূচি স্বয়ংসিদ্ধা।


পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের মহিলা থানার উদ্যোগে এদিন নিবেদিতা কন্যা বিদ্যালয়ে বর্ধমান সহযোদ্ধার সহযোগিতায় এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বর্ধমান মহিলা থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক কবিতা দাস, বর্ধমান সহযোদ্ধার পক্ষ থেকে বর্ধমান জেলা আদালতের আইনজীবী দ্বৈপায়ন দাস, নিবেদিতা কন্যা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা স্বাগতা কোনার পাশাপাশি জেলা পুলিশের মহিলা থানার পুলিশ অফিসার পুলিশ কর্মী এবং সহযোদ্ধার যমুনা চ্যাটার্জি সুশান্ত বাগ সহ বিদ্যালয়ের ছাত্রী এবং তাদের অভিভাবীকারা।

মূলত আলোচনার বিষয়ের মধ্যেই মহিলা থানার আধিকারিক কবিতা দাস ছাত্রীদের সচেতন করতে চেয়েছেন কখনো কাউকে বিশ্বাস করে চট করে কোন প্রলোভনে পা দেওয়া যাবে না। প্রলোভনে মানব পাচারের মতো ভয়াবহ ঘটনা ঘটতে পারে যেখানে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে অথবা এমন কোন জায়গা যেখানে।থেকে ফিরে আসার উপায় থাকবে না।

বর্তমানে এমন কিছু ঘটনা ঘটে চলেছে যেখানে দশ বছরের বা তারও কমবয়সী শিশুরা সমাজের পাশবিক অত্যাচারের শিকার হচ্ছে। সেই জন্য সব সময় প্রত্যেককেই সচেতন থাকতে হবে। বিদ্যালয়ে আসতে হবে দলগতভাবে কোন নির্জন স্থান দিয়ে একা প্রেরণ উচিত নয়।।। যদি কোন ঘটনা ঘটে থাকে অবশ্যই জেলা পুলিশের হেল্পলাইন নাম্বারে, চাইল্ড লাইন নাম্বারে যোগাযোগ করতে হবে। বাড়িতেও যদি কোন ঘটনা ঘটে অথবা আশেপাশে যদি কোন ঘটনা ঘটে বাবা-মায়ের পাশাপাশি স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকাকেও বিষয়টি জানাতে হবে।। তিনি ছাত্রীদের বোঝান কম বয়সে বিয়ে এটা কখনোই করা চলবে না যদি নিজেদের বাড়িতেও এটা ঘটে অথবা আশেপাশে কোন জায়গায় এরকম ঘটনা ঘটে তবে দিদিমণিদের অথবা চাইল্ড লাইন অথবা মহিলা থানার হেল্পলাইনে।

মহিলা থানার আধিকারিক কবিতা দাস এও জানান, স্বয়ংসিদ্ধা মানে একা থেকে এক হও, স্বয়ং সম্পূর্ণ হও এবং স্বয়ংসিদ্ধা পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের এমনই একটা কর্মসূচি যে কর্মসূচি বিদ্যালয় গুলিতে সচেতনতা বাড়াতে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে বা মহিলা থানার পক্ষ থেকে ধারাবাহিকভাবে উদ্যোগ নিয়ে করা হচ্ছে যাতে সমাজে ঘটে চলা যে সমস্ত অপরাধমূলক কাজকর্ম সেগুলোর থেকে ছাত্রীরা সতর্ক থাকতে পারে।

তিনি আরো বলেন,কোন সোশ্যাল মাধ্যমেই নিজের ছবি শেয়ার করা যাবে না। না বলতে শিখতে হবে, খারাপ স্পর্শ, ভালো স্পর্শ বুঝতে হবে, কোন প্রকারের প্রলোভনে পা দেওয়া যাবে না। তিনি এও বলেন প্রত্যেক বিদ্যালয় কে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খুলতে হবে স্বয়ংসিদ্ধা বিষয়,যে গ্রুপে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তথ্য আদান প্রদান হবে। এবং এই গ্রুপে বিদ্যালয়ের পাশাপাশি জেলা পুলিশের পক্ষ থেকেও থাকা হবে।

এদিন আইনজীবী দ্বৈপায়ন দাস বলেন, ফোনের যে ব্যবহার সেই ব্যবহার খুব সাবধানে করতে হবে, কারণ ফোন থেকেও অপরাধ সংগঠিত হয়।
বর্ধমান সহযোদ্ধার পক্ষ থেকে বিদ্যালয় এর ছাত্রীদের মা দের সঙ্গে তাদের সুবিধে নিয়ে অসুবিধা নিয়ে আলোচনা করেন সহযোদ্ধার সদস্য প্রীতিলতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এই কর্মসূচিতে আধিকারিক কবিতা দাস প্রজেক্টর এর মাধ্যমে সচেতনতা বাড়াতে তথ্যচিত্র ছাত্রীদেরকে দেখান এবং পাশাপাশি এই বিষয়ে তিনি প্রশ্ন উত্তরও রাখেন।

Leave a Reply