নিজ গৃহে রাজলক্ষ্মীর প্রত্যাবর্তন।
শুভদীপ ঋজু মন্ডল বাঁকুড়া:—-যথাযোগ্য মর্যাদায় শোভাযাত্রা সহকারে রাইপুরের চাঁন্দুডাঙ্গা গ্রামের মা মহামায়া মন্দির থেকে রাজলক্ষ্মীকে স্বস্থানে অর্থাৎ হরিহর গঞ্জগড় রাজ পরিবারের লক্ষ্মী জনার্দন মন্দিরে পৌঁছে দেওয়া হল। এখানে উল্লেখ্য প্রতি বর্ষ সির দিন শোভাযাত্রা সহকারে তোপধ্বনি রমধ্য দিয়ে রাজ পরিবারের মন্দির থেকে রাজলক্ষ্মীকে মহামায়া মন্দিরে নিয়ে আসা হয়। এখানে তিন দিন মা লক্ষ্মী দুর্গা রূপে পূজা হন দশমীর পুজো শেষে আবার তাকে রাজ পরিবারের মন্দিরে রেখে আসা হয় এটাই নিয়ম ও রীতি হিসেবে দীর্ঘ প্রায় ৩০০ বছর ধরে চলে আসছে। রাজ পরিবারের বর্তমান রাজা গোপীনাথ সিংহ দেব বলেন আমার বাপ ঠাকুরদার আমল থেকে আমরা এই নিয়ম দেখে আসছি। এবারও তার কোন ব্যতিক্রম ঘটেনি। এটাই রাজ পরিবারের ঐতিহ্য ।রাজ পরিবারের কুলদেবীকে মহামায়া মন্দিরের নিয়ে যাওয়া হয়। মোঃ মন্দিরে অষ্টমীর দিন যে পুজো হয় তার সমস্ত দায়ভার বহন করে রাজ পরিবার। অষ্টমীর দিন যে চাল কুমড়ো আঁখ ও পাঁঠা বলি হয় সেগুলো রাজ পরিবার থেকেই মন্দিরে পাঠানো হয়। বলি দেওয়া পাঁঠা রাজ পরিবারের প্রাঙ্গণে মাটিতে পুঁতে দেওয়া হয়। অতীতে নাকি মহামায়া মন্দিরে অষ্টমীর দিন নরবলি দেওয়া হতো রাজা দুর্জন সিংহের আমল থেকে নর বলির বদলে পাঁঠা বলি চালু হয়। তিনবার তোপধ্বনী এর মধ্য দিয়ে সন্ধিপূজো শেষ হয়।