নিক্ষয় মিত্র হিসেবে ৮০ জন যক্ষা রোগীকে সহায়তা,সাংসদ সামিরুল ইসলামের
সেখ রিয়াজউদ্দিন,বীরভূম:- আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে দেশ থেকে যক্ষা রোগ সম্পূর্ণ নির্মূলিকরণের লক্ষ্যে এক অভিযান শুরু হয়েছে “টিবি মুক্ত ভারত “।সেজন্য শুরু হয়েছে নিক্ষয় মিত্র নামক প্রকল্প । যক্ষা রোগীদের জন্য ঔষধের পাশাপাশি খাদ্য তথা পুষ্টির বিশেষ প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে নিক্ষয় মিত্র হিসেবে যে কেউ দায়িত্ব নিতে পারেন যক্ষা রোগীদের পুষ্টিকর খাদ্য সরবরাহের লক্ষ্যে। নিক্ষয় মিত্র প্রকল্পের অধীনে পর্যাপ্ত পরিমাণ পুষ্টি যোগানের লক্ষ্যে নিউট্রিশন কিট দেওয়া হয়ে থাকে।এরূপ সাহায্যের ক্ষেত্রে সরকারি, বেসরকারি, বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পাশাপাশি ব্যক্তিগতভাবেও অনেকে এগিয়ে এসে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন টিবি মুক্ত ভারত গড়ার লক্ষ্যে।সেরূপ রামপুরহাট ২ নম্বর ব্লকের বসোয়া ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে
এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ৮০ জন যক্ষ্মা রোগীকে নিক্ষয় মিত্র প্রকল্পে পুষ্টিকর খাবার সরবরাহের দায়িত্বভার তুলে নিলেন বীরভূমের ভূমিপুত্র তথা রাজ্যসভার সাংসদ সামিরুল ইসলাম। উক্ত অনুষ্ঠান থেকেই রোগীদের হাতে ছমাসের জন্য পুষ্টিকর খাবারও তুলে দিলেন রামপুরহাট ২ নম্বর ব্লক এলাকার যক্ষা আক্রান্ত ৮০ জন রোগীর হাতে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ সামিরুল ইসলাম, রামপুরহাট মহকুমা শাসক সৌরভ পান্ডে, রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শোভন দে, ডেপুটি সিৎএম ও এইচ- ১ অমিতাভ সাহা,বিধায়ক অশোক চট্টোপাধ্যায়,বিএম ও এইচ অভিজিৎ রায়চৌধুরী, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সাহারা মন্ডল, মাড়গ্রাম থানার ওসি জাহিদুল ইসলাম প্রমুখ বিশিষ্ট ব্যাক্তিবর্গ।উল্লেখ্য রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলা সূত্রে জানা যায় যে এখানে প্রতিবছর প্রায় দু হাজার যক্ষা রোগী চিহ্নিত হয়। এ বছর জুন পর্যন্ত রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলায় যক্ষা রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ১০ ৮৭ জন।ইতিমধ্যে ৫৫ জন নিক্ষয় মিত্র হিসেবে ১৭০ জন রোগীকে পুষ্টিকর খাবার সহায়তার দায়িত্ব নিয়েছেন বলে জানা যায়।