নিউ ব্যারাকপুর থানার উদ্যোগে এলাকায় সচেতনতামূলক প্রচার
জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী
পুলিশ মানেই অভিযোগ। ‘পান থেকে চুন খসলেই’ তাদের বিরুদ্ধে তথাকথিত সুশীল সমাজ উগরে দেয় একরাশ ক্ষোভ। ঝুলি থেকে বেরিয়ে আসে একের পর এক কটু বিশেষণ। অথচ আইনশৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি সমাজের প্রতি নিজেদের দায়িত্ব পুলিশ কর্মীরা নিয়মিত পালন করে চলেছে সেই খোঁজ কেউ রাখেনা। বাড়িতে এডমিট কার্ড ফেলে আসা অসহায় পরীক্ষার্থী তাদের সৌজন্যে সঠিক সময়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছাতে পারে। অসুস্থ বৃদ্ধাকে কোলে নিয়ে হাসপাতালে পৌঁছানোর জন্য কলকাতার রাজপথ ধরে ছুটে চলেছে এক মহিলা পুলিশ কর্মী সেই দৃশ্য অনেকের চোখে পড়েছে। মুমূর্ষু রুগীকে রক্তদান করতেও তাদের দেখা গেছে। এবার নিউ ব্যারাকপুর থানার সৌজন্যে সমাজ সচেতনতামূলক র্যালির সাক্ষী থাকার সুযোগ পেল এলাকাবাসী।
বর্তমানের নেটযুগে অন্যতম বড় সমস্যা হলো সাইবার ক্রাইম। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সমাজের উঁচু তলার মানুষ এর শিকার হচ্ছে। বেপরোয়া গতির জন্য অকালে ঝরে যাচ্ছে অনেক তাজা প্রাণ। ড্রাগের নেশা সর্বনাশ ডেকে আনছে ব্যক্তি ও পারিবারিক জীবনে। পরিবেশের প্রতি যে অত্যাচার চলছে আসন্ন গ্রীষ্মকালে তার টের পাওয়া যাবে। একইসঙ্গে বিপদ ডেকে আনছে ডেঙ্গু।
এইসব বিষয়ে মানুষকে সচেতন করার জন্য ৭ ই ফেব্রুয়ারি নিউ ব্যারাকপুর থানার পক্ষ থেকে একটি সচেতনতামূলক প্রচার ও র্যালির আয়োজন করা হয়। থানার পুলিশ আধিকারিকরা ছাড়াও এলাকার মাসুন্দা অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়, অহরমপুর জেএসপি, সাজিরহাট পৌর প্রাথমিক বিদ্যালয়, কালীবাড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কোদালিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়, নিউ ব্যারাকপুর কলোনি বয়েজ স্কুল প্রমুখ সাতটি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সহ ৬৫ জন এনসিসি ক্যাডেট এই সচেতনতামূলক র্যালিতে অংশগ্রহণ করে। 'সেবায়ন' নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ও 'আগুয়ান সংঘ সব পেয়েছি আসর ব্যান্ড' এই র্যালিতে পুলিশের সাথে সমন্বয় করে। এছাড়াও র্যালিতে স্থানীয় পৌরসভার চেয়ারম্যান সহ বেশ কয়েকজন সম্মানিত ব্যক্তি অংশগ্রহণ করেন।
র্যালি থেকে বিভিন্ন সামাজিক সমস্যা সম্পর্কে পথচলতি মানুষদের সচেতন করার সঙ্গে সঙ্গে প্রায় পাঁচ শতাধিক মানুষের হাতে তুলে দেওয়া হয় সচেতনতামূলক লিফলেট। তাদের অনুরোধ করা হয় সমাজ ও নিজ নিজ পরিবারের স্বার্থে প্রত্যেকে যেন একটু সতর্ক হন। তাহলেই সবাই ভাল থাকবে। পুলিশের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা।
বিশিষ্ট শিল্পী ছবি নাথ বললেন – বাচ্চাদের সঙ্গে নিয়ে পুলিশ প্রশাসন যখন এই ধরনের সচেতনতামূলক প্রচারে বের হয় তখন তার একটা প্রভাব সমাজের উপর পড়ে। একটু সচেতন হলেই অনেক অপ্রত্যাশিত বিপদের হাত থেকে আমরা রক্ষা পেতে পারি। আশাকরি পুলিশ প্রশাসনের এই উদ্যোগ ব্যর্থ হবেনা।