নার্কোটিক জেহাদ নিয়ে বিস্ফোরক খ্রিস্টান যাজক জোসেফ
সোমনাথ ভট্টাচার্য ,
কেরলের লাভ জেহাদের পর মৌলবাদীরা সক্রিয় নার্কোটিক জেহাদে।এখানে সুপরিকল্পিত ভাবে ক্যাথলিক ছেলেমেয়েদের সর্বনাশা নেশায় আনা হচ্ছে বলে অভিযোগ খ্রিস্টান যাজক মাস জোসেফ কাল্লারাঙ্গাটের।এতদিন হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠীগুলি বলত, মুসলিমরা হিন্দু মেয়েদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে হিন্দু মেয়েদের বিয়ে করে ধর্ম বদল করিয়ে দিচ্ছে, যাকে লাভ জেহাদ তকমা দিচ্ছে তারা। বিশপের মন্তব্যে তাতে নতুন মাত্রা যোগ হয়। মুসলিম সংগঠনগুলি লাভ জেহাদ তত্ত্বের নিন্দা করে, বিশপকেও তাঁর চাঞ্চল্যকর মন্তব্যের জন্য নিশানা করে তারা বলে, উনি সাম্প্রদায়িক বিভাজনের চেষ্টা করছেন। পাল্টা কেরলের বিজেপি রাজ্যসভা সাংসদ সুরেশ গোপী বিশপের পাশে দাঁড়িয়ে জানালেন, বিশপকে টার্গেট করে সকলে আক্রমণ করছে, এটা ঠিক নয়। উনি যা-ই বলে থাকুন, রাজ্য সরকারকে সেদিকে নজর দিতে হবে। এপ্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকার খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে কথা বলবে, তাঁদের বক্তব্য মনোযোগ দিয়ে শুনবে বলে জানান গোপী। চলতি সপ্তাহে কাল্লারাঙ্গাটের সঙ্গে দেখা করেন গোপীও। যদিও এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানান তিনি। বিশপের অভিযোগ নিয়ে কেরলে সর্বদল বৈঠকের দাবি উঠেছে। যদিও গতকালই তা খারিজ করে মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন দাবি করেন, লাভ জেহাদ, মাদক জেহাদ বলে কিছু হয় না। যে সমস্যার অস্তিত্বই নেই, তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে না, বলেন তিনি। তারপরই গোপী বিশপের পাশে দাঁড়ালেন। বিশপের ৯ সেপ্টেম্বরের মন্তব্যকে প্রথম সমর্থন করে বিজেপিই। যথারীতি তা নিয়ে ধর্মীয় নেতাদের মধ্যে বিবাদ, বাকযুদ্ধ শুরু হয়। সিরিয়-মালাবার চার্চও বিশপকে সমর্থন করে জানায়, জনজীবনে নির্দিষ্ট কিছু খারাপ প্রভাবের বিরুদ্ধে সতর্ক করেছেন তিনি, কোনও বিশেষ সম্প্রদায় তাঁর নিশানা ছিল না।এই নার্কোটিক জেহাদ মন্তব্য ঘিরে চাঞ্চল্য রয়েছে এই রাজ্যে।