নারী নির্যাতনে শীর্ষে উত্তরপ্রদেশ
সেখ সামসুদ্দিন ,
জাতীয় মহিলা কমিশনে নথিভুক্ত অভিযোগ অনুযায়ী নারী নির্যাতনে দেশের শীর্ষে রয়েছে উত্তরপ্রদেশ। গতবছরের তুলনায় নারী নির্যাতনের ৪৬% অপরাধ বেড়েছে এই রাজ্যে।সমগ্র দেশে গত বছর অভিযোগ এসেছিল ১৩ হাজার ৬১৮ টি।চলতি বছরের ৮ মাসেই এখন ১৯ হাজার ৯৫৩ টি অভিযোগ এসেছে। এর মধ্যে উত্তরপ্রদেশে ১০ হাজার ৮৪ টি অভিযোগ। অভিযোগের সিংহভাগই এসেছে উত্তরপ্রদেশ থেকে। অর্থাত্ গত কয়েক বছরের মতো নারী নির্যাতনের অভিযোগে শীর্ষে সেই যোগীরাজ্য।এর পরেই রয়েছে দেশের রাজধানী দিল্লি। সব মিলিয়ে গতবারের থেকে ৪৬ শতাংশ বেড়েছে অভিযোগের পরিমাণ। সংবাদমাধ্যমের সূত্রে জানা গেছে, জমা পড়া অভিযোগের মধ্যে উত্তরপ্রদেশ থেকে জমা পড়েছে ১০ হাজার ৮৪টি। প্রসঙ্গত, গত বছরই জানা গিয়েছিল যে, আগের চার বছরের হিসেবে নারীঘটিত অপরাধ ৬৬ শতাংশ বেড়েছে এই রাজ্যে। দিল্লি থেকে জমা পড়েছে ২ হাজার ১৪৭টি অভিযোগ। তালিকায় এরপর রয়েছে হরিয়ানা ও মহারাষ্ট্র। যথাক্রমে ৯৯৫ ও ৯৭৪টি অভিযোগ জমা পড়েছে ওই দুই রাজ্য থেকে। তালিকার প্রথম চার রাজ্যের মধ্যে নাম নেই পশ্চিমবঙ্গের।সবথেকে বেশি অভিযোগ জমা পড়েছে জুলাই মাসে। কেবল ওই মাসেই ৩ হাজার ২৪৮টি অভিযোগ জমা পড়েছে। যা ২০১৫ সালের জুন মাসের পরে কোনও এক মাসে জমা পড়া সর্বোচ্চ অভিযোগ।কেন বাড়ছে নারী নির্যাতনের অভিযোগের সংখ্যা? মহিলা কমিশনের প্রধান রেখা শর্মা জানান, এর পিছনে রয়েছে কমিশনের সচেতনতামূলক কর্মসূচির প্রভাব।তাঁর দাবি, মহিলাকমিশন একটানা প্রচার চালিয়ে যাওয়ার ফলে মানুষ এখন আগের থেকে অনেক বেশি সচেতন।আর সেই কারণেই অভিযোগ জমা পড়ার সংখ্যা এত দ্রুত বেড়েছে।তাঁর কথায়, ‘কমিশন মহিলাদের পাশে দাঁড়াতে নতুন নতুন পদক্ষেপ করছে। সেই সঙ্গে আমরা সারাক্ষণের হেল্পলাইনও চালু করেছি।’ঠিক কোন ধরনের অভিযোগ জমা পড়েছে কমিশনে। হিসেব জানাচ্ছে জমা পড়া অভিযোগের মধ্যে সবচেয়ে বেশি অভিযোগ সম্মানের সঙ্গে বেঁচে থাকার অধিকার সংক্রান্ত অভিযোগ। ৭ হাজার ৩৬টি। গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ জমা পড়েছে ৪ হাজার ২৮৯টি। এরপরই বিবাহিত মহিলাকে হেনস্তার অভিযোগ ২ হাজার ৯২৩টি। ধর্ষণ ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ যথাক্রমে ১ হাজার ২২টি ও ১ হাজার ১১৬টির মতো।উত্তরপ্রদেশের ক্রমাগত হিংসা বেড়ে যাওয়ায় সমালোচনার মুখে যোগীর সরকার।