নানুরের পাপুড়িগ্রামে টানা নয় দিনে ১৭০০ রক্তদাতা রক্তদান করেন
সেখ রিয়াজুদ্দিন বীরভূম:- কাজল শেখ মানে আবেগ, কাজল শেখ মানে ভালোবাসা, কাজল শেখ মানে অসহায়ের সহায় সম্বল, যার ভালবাসার টানে কাতারে কাতারে, হাজার হাজার মানুষ গত আট দিন ধরে রক্তদান শিবিরে এসে রক্তদান করেছেন। যদি মানুষকে ভালোবাসা যায়, তার পাশে থাকা যায়, তাহলে রক্তদান কেন জীবন দান করতেও প্রস্তুত। হ্যাঁ, -সোমবার শিবিরের শেষ দিনে গত ৮ দিন ধরে চলা একটানা রক্ত সংগ্রহ দেখে উপস্থিত অতিথিদের বক্তব্য।সামাজিক দায়বদ্ধতা, মানুষের জন্য কাজ- এই সংকল্পকে সামনে রেখেই আট দিন ধরে রক্তদান শিবির করে প্রায় ১৭০০ রক্তদাতা রক্তদান করে নজির তৈরি করলেন।উল্লেখ্য গত ২৩ শে অক্টোবর রক্তদান শিবিরের শুভ সূচনা হয় নানুরের পাপুড়ি হাইমাদ্রাসা প্রাঙ্গণে এবং ৩১ শে অক্টোবর জেলার বিশিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি ঘটে,যা জেলা ছড়িয়ে রাজ্যের বুকে নজির স্থাপন করে।
জেলা ছড়িয়ে পার্শ্ববর্তী বর্ধমান ও মুর্শিদাবাদ জেলায় যাচ্ছে শিবিরে সংগৃহীত রক্ত। শিবিরের শুভসূচনা করেছিলেন শহীদের মা সাদেকা বিবি এবং প্রথম রক্তদান করেন কাজল শেখ। সেদিন উপস্থিত ছিলেন কেতুগ্রামের বিধায়ক শাহনাজ হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবী তথা একটানা একস্থানে নয়দিন রক্তদান শিবিরের উদ্যোক্তা কাজল শেখ ও অন্যান্যরা। সোমবার শিবিরের সমাপ্তি পর্বে এক মনোজ্ঞ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে রক্তদাতাদের হাতে শংসাপত্র প্রদান করা হয়। উপস্থিত ছিলেন বীরভূম জেলা সিএমওএইচ ডা: হিমাদ্রি আড়ি, নানুর ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক শৌভিক ঘোষাল, রবি ঘোষ, রাজেশ পালিত, বীরভূম ভলেন্টারি ব্লাড ডোনার্স এ্যাসোসিয়েশনের জেলা সভাপতি নুরুল হক, প্রত্যাশার কর্ণধার আব্দুল খালেক মল্লিক সহ অন্যান্যরা।কাজল শেখ জানান,শহীদ সাজু মেমরিয়াল ওয়েলফেয়ার সোসাইটির উদ্যোগে পাপুড়ি হাইমাদ্রাসা প্রাঙ্গণে একটানা আট দিন ধরে চলা শিবির থেকে প্রায় ১৭০০ রক্তদাতা স্বেচ্ছায় রক্তদান করেন।