ধারাবাহিক নিস্ক্রিয়তার জন্য নিউটাউন ওসি কে ক্লোজ, হাইকোর্ট কে জানালো রাজ্য

মোল্লা জসিমউদ্দিন, 

 মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে এক মামলায় রাজ্য রিপোর্ট পেশ করে  জানালো -‘কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ক্লোজ করা হল নিউটাউন থানার ওসি-কে’। ‘জমি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে নিস্ক্রিয়তার জন্য হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে নিউ টাউন থানার ওসি-কে ক্লোজ করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় পদক্ষেপ করা হয়েছে। অভিযুক্তের জামিন খারিজের জন্য আবেদন করেছে’ পুলিশ বলে জানিয়েছে রাজ্য।জমি দখল ঘিরে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার মামলা। রাজ্যের রিপোর্ট দেখে সন্তুষ্ট বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। এদিন এই মামলায় বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, ”বিধাননগরকে কমিশনারেট করার নির্দিষ্ট চিন্তা ভাবনা আছে। না হলে তো ওটা একটা জেলার অংশ। ওই এলাকার বাসিন্দাদের নিশ্চয়ই কিছু বিশেষত্ব রয়েছে। সেখানে যদি পুলিশ সুশিক্ষিত না হয় তাহলে তো রাজ্য পুলিশের অন্য অংশের বাহিনীর মত এখানেও একই ভাবে পুলিশ কাজ করবে। আগেও বলেছি, নিউ টাউন, রাজারহাট সেই গুরুত্বপূর্ণ থানা, সেখানে বাইরে থেকে বিনিয়োগকারীরা আসেন। এরফলে সেখানে যদি পুলিশ প্রশিক্ষিত না হয় তাহলে সেটা সমাজের জন্য খারাপ বার্তা দেবে।” বিচারপতির আরও পর্যবেক্ষণ, ”একই সমস্যা বাগুইহাটি থানার। না হলে একটা থানার মধ্যে থেকে তিনটে গাড়ি চুড়ি হয়ে যায়! ফলে কমিশনারেটে কর্মরত পুলিশদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণের প্রয়োজন।”এর আগে ১২ ডিসেম্বর এজলাসের প্রক্রিয়া ছিল। নিউটাউন থানার ওসি-কে নিয়ে রাজ্যের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট।’ অবিলম্বে এই ওসি কে সরানো হোক। নাহলে আমি পদক্ষেপ করব’।  গত শুনানিতে জানিয়েছিলেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। বিচারপতি আরও জানিয়েছিলেন -‘ আমি দেখতে চাই এই পুলিশ অফিসারের পিছনে কার হাত আছে’। যেখানে রাজ্য দেশ-বিদেশ থেকে বিনিয়োগ আনার চেষ্টা করছে। বিনিয়োগকারীদের রাজারহাট-নিউটাউনের মত জায়গায় নিয়ে আসতে চাইছে। তথ্য প্রযুক্তি হাবকে আরও মজবুত করতে চাইছে সেখানে এই ধরনের পুলিশ অফিসার দায়িত্বে আছে ? প্রশ্ন বিচারপতির।’রাজ্য কি নিজেই নিজের সম্মানহানি করতে চাইছে ?’ – প্রশ্ন বিচারপতির। এই পুলিশ অফিসারের আগের রেকর্ড জানেন ? এই অফিসার যখন বাগুইহাটি থানায় ছিলেন তখন দুই শিশু নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা ঘটে। দু’দিন পরে দেহ উদ্ধার হয়। এই অফিসার কিছুই করেননি বলে অভিযোগ ওঠে। তিনটি গাড়ি একদিনে চুরির অভিযোগেও একইভাবে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠেছিল। গত শুনানি পর্বে জানিয়েছিলেন  বিচারপতি। মঙ্গলবার বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে জমা দেওয়া হয় রিপোর্ট। রিপোর্ট দেখে সন্তুষ্ট আদালত।আদালতের পর্যবেক্ষণ, -‘বিধাননগরকে যে কমিশনারেট করা হল, তার পিছনে কোনও নির্দিষ্ট চিন্তা ভাবনা আছে। না হলে তো ওটা একটা জেলার অংশ। ওই এলাকার বাসিন্দাদের নিশ্চয় কিছু বিশেষত্ব আছে। সেখানে যদি পুলিশ সুশিক্ষিত না হয়, তাহলে তো রাজ্য পুলিশের অন্য অংশের বাহিনীর মতো এখানেও একইভাবে পুলিশ কাজ করবে’।বিচারপতি আরও উল্লেখ করেছেন যে, -‘নিউটাউন, রাজারহাট হল সেই গুরুত্বপূর্ণ থানা এলাকা, যেখানে বাইরে থেকে বিনিয়োগকারীরা যান। ফলে সেখানে যদি পুলিশ প্রশিক্ষিত না হয় তাহলে সেটা সমাজের জন্যেই খারাপ বার্তা দেবে বলে মনে করছে আদালত’। বাগুইহাটি থানা নিয়েও এদিন প্রশ্ন ওঠে হাইকোর্টে। বিচারপতি বলেন, “একটা থানার মধ্যে থেকে তিনটে গাড়ি চুড়ি হয়ে যায় কীভাবে!” ফলে কমিশনারেটে কর্মরত পুলিশদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণের কথা বলল হাইকোর্টে। এদিন মামলার নিষ্পত্তি হয়ে যায় এদিন।

Leave a Reply