দেড় বছর শুনানি না হওয়ায় সশরীর কিংবা ভার্চুয়াল শুনানি চান সারদা কর্তা
মোল্লা জসিমউদ্দিন,
দীর্ঘদিন জেল হেফাজতে রয়েছেন সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন। বিনা বিচারে বন্দি থাকার অভিযোগ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের )দ্বারস্থ হয়েছিলেন সুদীপ্ত।এই বিষয়ক মামলার দেড় বছর ধরে শুনানি বন্ধ কলকাতা হাইকোর্টে।সারদা কেলেঙ্কারিতে নেতা, মন্ত্রী সহ বহু হেভিওয়েটের নাম জড়িয়েছিল। তাঁরা জামিন পেলেও জেলেই জীবন কাটছে সুদীপ্ত এবং তাঁর সহযোগীর। চার্জ গঠন,তদন্ত প্রক্রিয়ার অগ্রগতি সম্বন্ধে কার্যত কেউ জানেন না বলে খবর। বিচারপ্রক্রিয়া কবে শুরু হবে? সেই বিষয়েও কারোর কোনও ধারণা নেই। কেউ কেউ বলছেন, সারদা কর্তা এবং তাঁর সহযোগীকে শেষ কবে আদালতে সশরীরে হাজির করানো হয়েছিল সেটা মনে নেই!’আদালতে অন্তত হাজির করানো হোক’, এই আর্জি জানিয়েছেন সুদীপ্ত।একটা সময় সারদা কর্তার হয়ে একাধিক আইনজীবী মামলা লড়েছিলেন। তবে বর্তমানে তাঁর কোনও আইনজীবী নেই বলে জানা যাচ্ছে। বিগত প্রায় দেড় বছর ধরে এই মামলার কোনও শুনানি হচ্ছে না বলে খবর। সুদীপ্তর আবেদন, সশরীরে হোক বা ভার্চুয়ালি, তাঁকে অন্তত আদালতে হাজির করানো হোক। বিনা বিচারে বন্দি থাকার অভিযোগ নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থও হয়েছিলেন তিনি। এই বিষয়ে প্রিজনার্স পিটিশন জমা দেন আদালতে।জানা গেছে সুদীপ্তর সেই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি ও বিচারপতি গৌরাঙ্গ কান্তের ডিভিশন বেঞ্চে সিবিআই জানিয়েছে, -‘তাদের ৪টি মামলায় সারদা কর্তা জামিন পেয়েছেন’। এবার আদালত সেই রিপোর্ট সুদীপ্তকে যাচাই করতে পাঠিয়েছে।এদিকে আইনজীবীদের একাংশ জানাচ্ছেন -‘ সিবিআই শুধু নয়, সারদা কর্তা হয়তো রাজ্য পুলিশের কয়েকটি মামলাতেও অভিযুক্ত। সেই মামলাগুলির কী অবস্থা সেটাও জানা দরকার বলে মত তাঁদের। আইনজীবীদের অনেকেই মনে করছেন, এই মামলায় সর্বাধিক সাজা কী হতে পারে সেই বিষয়ে সন্দেহ আছে। তাই সেদিক থেকে দেখতে বিগত এক দশক ধরে কার্যত বিনা বিচারে জেল খাটছেন সুদীপ্ত এবং দেবযানী। এটা কতখানি সঙ্গত সেই নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন অনেকে।এখন দেখার কলকাতা হাইকোর্ট পরবর্তী কি নির্দেশ দেয় সারদা কর্তা কে নিয়ে?